এফআইআর টিভি অনলাইন ডেস্কঃ যশোরের অভয়নগরের ভৈরব নদে এবার ১৩৫০ টন কয়লা বোঝাই ‘এমভি সুরাইয়া’ নামের একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে জাহাজের ১২ জন স্টাফই সাঁতরে তীঁরে উঠে আসেন। ডুবে যাওয়া কয়লার কারণে নদীর পানি দূর্ষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ডুবে যাওয়া কয়লার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ইদনেশিয়া থেকে আফিল ট্রেড ইটারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ কয়লা আমদানি করে। এসব কয়লা নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় আফিল ট্রেড ইটারন্যাশনাল নামের ঘাটে নামানোর কথা ছিল।
এমভি সুরাইয়া জাহাজের মাস্টার সোহাগ হোসেন রাজু বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্ট থেকে কয়লা নিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্য যাত্রা করি। আনলোড পয়েন্টে জায়গা না থাকায় গত ১ মার্চ অভয়নগরের ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে জাহাজ নোঙর করা হয়। শনিবার সকালে আনুমানিক ১০ টার সময় জাহাজের তলদেশ ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে জাহাজ ডুবে যায়। আমরা ১২ জন সাঁতরে জীবন রক্ষা করেছি। জাহাজে ১৩৫০ টন কয়লা ছিল।
আফিল ট্রেড ইটারন্যাশনালের পরিচালক রাকিবুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আফিল ট্রেড ইটারন্যাশনালের নামে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টের মাদার ভেসল থেকে এমভি সুরাইয়া নামের কার্গো জাহাজে ১৩৫০ টন কয়লা লোড দেওয়া হয়। গত ১ মার্চ অভয়নগর পৌঁছালে আফিল ট্রেডের ঘাট নোঙর করানো সম্ভব হয়নি। পরে জাহাজটি ভাটপাড়া ইকোপার্কের সামনে নোঙর করে। শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া কয়লার মূল্য আনুমানিত দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা। নদীর নাব্যতা কমার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।
নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, সকালে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় নদীর মাঝামাঝি স্থানে জাহাজ আটকে গেছে। এসময় তারা সহযোগিতা চাইলে জাহাজ পাড়ে ভিড়াতে বলা হয়। দুপুরে জানতে পারি জাহাজ ডুবে গেছে। ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই স্থানে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পীরবাড়ী ঘাটে ‘এমভি শারিব বাঁধন’ নামের একটি জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে ৬৮০ টন (১৩ হাজার ৬০০ বস্তা) সরকারি ইউরিয়া সার ছিল। যে জাহাজের উদ্ধার কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি।