এস এম আলতাফ হোসাইন সুমন, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিষয়ে এরইমধ্যে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সারাদেশে কড়া সতকর্তা অবলম্বন করেছে সরকার। সতর্কতা নেওয়া হয়েছে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বুড়িমারীতেও। তবে ভারতীয় ট্রাক চালকদের সঠিক ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বন্দরে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ রিমন নামের একজন পিয়ন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে মেডিকেল ক্যাম্পটিতে।
অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নিয়োজিত ডাক্তারগন
ক্যাম্পে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। ফলে উদ্দিগ্ন ভারতীয় ট্রাক ড্ররাইভাসহ স্থানীয়রা ।
এদিকে স্পর্শকাতার এ ভাইরাসের বিষয় নিয়ে ডাক্তারের অবহেলা করার কারণে অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন চলাচলরত মালবাহী ট্রাক চালকরা। এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন ডাক্তার সাহেব এখানে ডিউটি না করে পাটগ্রামে তার ব্যক্তিগত চেম্বার নিয়মিত রোগী দেখেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় রোগ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশনের মতো বুড়িমারী স্থলবন্দরেও বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। তবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা বা স্বাস্থ্য পরীক্ষার মতো কোনো ধরনের স্কানার নেই।
বুড়িমারী ইমিগ্রেশন দিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মাত্রাতিরিক্ত জ্বর,সর্দি,কাশি, হাচি, শ্বাসকচ,গলা ব্যথা হচ্ছে কি না শুধু তাই জিজ্ঞাসাবাদে চলছে করোনা ভাইরাস নির্ণয়। শুধুমাত্র থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে এই স্থলবন্দরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। সময় দ্রুত থার্মাল স্ক্যানার বসানোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
বুড়িমারী ক্যাম্পে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য বিভাগের স্যাকমো জিল্লুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কিছু সময়ের জন্য সেখানে ছিলাম না, পারসোনাল চেম্বারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দ্রুত ফোন কেটে দেন ।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা সাইফুর ইসলাম বলেন, এরআগেও ওই স্যাকমো জিল্লুর রহমানের নামে ডিউটি না করার কথা শুনেছি। এবার এবিষয়ে ভালো করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।