সাইফ উদ্দিন আল-আজাদ, কুষ্টিয়া থেকেঃ আমি টোকন চৌধুরী আজকে কিলার নামে পরিচিত, আমাকে কিলার কে বানাইছে? এই রাজনৈতিক দল বানাইছে, এই আওয়ামী লীগ বানাইছে। এই দলের স্বার্থে আমি কিলার হইছি। এই দৌলতপুরের ম্যাক্সিমাম জায়গায় আমার সমালোচনা, একবার ভাবছেন আমি টোকন চৌধুরী যতটা খারাপ করছি….কার এ্যাবসেন্টে, কার নির্দেশে আমি এটা করছি?
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ধর্ষক টোকন মন্ডলের (চৌধুরী) একটি ভিডিও ক্লিপ সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শীর্ষ কিলার টোকন মন্ডল (চৌধুরী) নিজের মুখে তার কুকীর্তির কথা দম্ভভরে উচ্চারন করায় অত্র এলাকার মানুষ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। এই মন্ডলদের ভয়ে সমগ্র দৌলতপুরবাসী আতংকে থাকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মন্ডল পরিবার সন্ত্রাসীদের সহায়তায় নক্শবন্দী মোজাদ্দেদিয়া সিলসিলার কল্যাণপুর পাক দরবার শরীফে ষড়যন্ত্র করে হামলা, মামলা, মারধর, অত্যাচার, লুটপাট এবং অগ্নিকান্ডের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে রিসোর্ট করতে চায়। টোকন মন্ডল যুবলীগের দৌলতপুর উপজেলা কমিটির সভা্পতি, স্বঘোষিত যুবলীগ নেতা হিসেবে ত্রাস, অত্র এলাকার মানুষ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। এই মন্ডলদের ভয়ে সমগ্র দৌলতপুরবাসী আতংকে থাকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টোকন মন্ডল সরকারী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অত্র এলাকায় অত্যাচার ও তান্ডবলীলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, টোকন মন্ডল (চৌধুরী) বলছে- ‘আমি টোকন চৌধুরী আজকে কিলার নামে পরিচিত, আমাকে কিলার কে বানাইছে? এই রাজনৈতিক দল বানাইছে, এই আওয়ামী লীগ বানাইছে। এই দলের স্বার্থে আমি কিলার হইছি। এই দৌলতপুরের ম্যাক্সিমাম জায়গায় আমার সমালোচনা, একবার ভাবছেন আমি টোকন চৌধুরী যতটা খারাপ করছি…….কার এ্যাবসেন্টে, কার নির্দেশে আমি এটা করছি? তারা নৌকার একটি লোককেও বাড়ীতে থাকতে দিবে না, নৌকার বাড়িঘর ভাংচুর হবে, নৌকার লোকজনের গরু লুট হবে- তাদের মা বোনদের ধর্ষণ করা হবে। আমি টোকন চৌধুরী মার্ডার করে এগার বছর দেশে-বিদেশে….টোকন চৌধুরী আজ সন্ত্রাসী হইছি। কেউ জনগণের ভোটে পাশ করে নাই। জোরপূর্বক আমরা পাশ করাইছি। এই জোরপূর্বক পাশ যদি না করাতাম তাহলে নেতার কাছ থেকে এক কোটি টাকা নিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করতাম। দৌলতপুরে আঠাশটি পশুর হাট আছে। এই আঠাশটি পশুর হাট আমি টোকন চৌধুরী কাউকে সিডিউল কিনতে দেইনি। আমার নিজের পকেট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে জোরপূর্বক সিডিউল ঠেকাইছি। ত্রিশটি চাকুরীতে আমাদের কথা ছিল। পঞ্চাশ হাজার টাকা করে নিব, অফিস নেবে আর পঞ্চাশ হাজার টাকা, এই ত্রিশ লক্ষ টাকা থেকে পনের লক্ষ টাকা নিয়ে আমরা সংগঠনের জন্য খরচ করবো। এই ত্রিশটি স্কুল থেকে আমরা ত্রিশ লক্ষ টাকা নিব। পনের লক্ষ টাকা দিব স্কুল অফিস খরচের জন্য, আর পনের লক্ষ টাকা আমরা সংগঠনের জন্য নিব। আপনারা হিসাব করেন আমার বিরুদ্ধে কতটা সমালোচনা শুরু হইছে। এক একটি এলাকার যারা নেতৃবৃন্দ আছে, তারা কারোর কাছে থেকে আড়াই লক্ষ, কারোর কাছ থেকে তিন লক্ষ, কারোর কাছে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমাকে দিয়েছে এক লক্ষ টাকা। পঞ্চাশ হাজার টাকা অফিসে দিয়েছি, পঞ্চাশ হাজার টাকা আমরা রাখছি। এই ত্রিশটা চাকুরী নিয়োগের ভিতরে বহু সংখ্যক নেতা আছে যারা আমার কাছে দু’দিন পর পর আসে আর বলে ভাই বিশ হাজার টাকা দেন, ঢাকাতে যাবো…..সাহেবের সাথে দেখা করতে যাবো, মাইক্রো ভাড়া করছি……. সবার মধ্যে প্রশ্ন যে, টোকন চৌধুরী সরকারি গমের টাকা মেরে খাইছে। পঞ্চাশ টন নিয়েছে এই প্রশাসন…..উপরমহল থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই।
টোকন মন্ডলের (চৌধুরী) এই দুই মিনিট ঊনপঞ্চাশ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে নিজের করা সব কুকীর্তি তুলে ধরে। জানা যায়, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর টোকন মন্ডলসহ (চৌধুরী) অন্য মন্ডলরা (চৌধুরী) জনসম্মুখে চলাফেরা কম করছে। এই টোকন মন্ডলদের (চৌধুরী) অজস্র অত্যাচার ও কুকর্মের বিচার না হওয়ায় অত্যাচারিত অসহায় ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের এখনই আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি না করা হলে যে কোন সময় অত্যাচারিত মানুষের ক্ষোভ জনরোষে রুপান্তরিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা ’তির চরম অবনতি হবে বলে সচেতন একটি এলাকার যারা নেতৃবৃন্দ আছে, তারা কারোর কাছে থেকে আড়াই লক্ষ, কারোর কাছ থেকে তিন লক্ষ, কারোর কাছে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমাকে দিয়েছে এক লক্ষ টাকা। পঞ্চাশ হাজার টাকা অফিসে দিয়েছি, পঞ্চাশ হাজার টাকা আমরা রাখছি। এই ত্রিশটা চাকুরী নিয়োগের ভিতরে বহু সংখ্যক নেতা আছে যারা আমার কাছে দু’দিন পর পর আসে আর বলে ভাই বিশ হাজার টাকা দেন, ঢাকাতে যাবো…..সাহেবের সাথে দেখা করতে যাবো, মাইক্রো ভাড়া দেন। সবার মধ্যে প্রশ্ন যে, টোকন চৌধুরী সরকারি গমের টাকা মেরে খাইছে। পঞ্চাশ টন নিয়েছে এই প্রশাসন…..উপরমহল থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই।
টোকন মন্ডলের (চৌধুরী) এই দুই মিনিট ঊনপঞ্চাশ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে নিজের করা সব কুকীর্তি তুলে ধরে। জানা যায়, ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর টোকন মন্ডলসহ (চৌধুরী) অন্য মন্ডলরা (চৌধুরী) জনসম্মুখে চলাফেরা কম করছে। এই টোকন মন্ডলদের (চৌধুরী) অজস্র অত্যাচার ও কুকর্মের বিচার না হওয়ায় অত্যাচারিত অসহায় ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাদের এখনই আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি না করা হলে যে কোন সময় অত্যাচারিত মানুষের ক্ষোভ জনরোষে রুপান্তরিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে বলে সচেতন মহল মনে করছে।