হাউশ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর- চুনারুঘাট) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা মেধাবী এ তরুণ নেতা পারিবারিক ভাবেও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। সেরা সংগঠক ও গণ-মানুষের নেতা এডভোকেট দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী বিভিন্ন শ্রেণী- পেশা ও দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে দোয়া, ভালবাসা, সমর্থন ও সহযোগীতা কামনা করেছেন।
তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগের মনেনয়ন ও সমর্থনে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা তাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে মাঠে নামার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে ।
এদিকে এমপি নির্বাচনে মারুফ সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দিতার খবরে আওয়ামী লীগের হাইব্রিড ও মতলববাজদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। তবে আওয়ামী লীগের আদর্শিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে বলে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে সচেতন মহলের মধ্যে তা পাওয়া গিয়েছে।
জানা গেছে, এই তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক। দেওয়ান মারুফ সিদ্দিকী ছাত্র জীবনেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং এই নেতা বর্তমানে আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ- কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর চুনারুঘাট) আসনের নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন,সমাজ সেবা, ক্রীড়া ও সামাজিক- সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে চলেছেন। ফলে নির্বাচনী এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার একটা পরিচ্ছন্ন ও নিজ্বস্ব ব্যক্তি ইমেজ তৈরী হয়েছে বলেও অনেকের মুখে মূখে শুনা যাচ্ছে।
নির্বাচনী এলাকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মারুফ সিদ্দিকী বলেন-“গেল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সহধর্মিণীকে জনপ্রতিনিধিগণ বিপুল ভোটে বিজয়ী করে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি মানুষ আমাকে কত ভালবাসে। সাধারণ জনগণে সাথে সব সময় ছিলাম বলেই মানুষের এ অকুন্ঠ সমর্থন। মানুষের এ সমর্থন মানব সেবার মাধ্যমে সব সময় ধরে রাখবো ইনশাল্লাহ। তাই মূত্যুর আগ পর্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই এবং এমন একটা কিছু করে যেতে চাই যেনো মূত্যুর পরেও মানুষ আমাকে স্মরণ করে।”