বুকের জমিনে আগ্রাসী অভিযান মেয়াদোত্তীর্ণ অবাঞ্ছিত পরিত্যক্ত সম্পর্কের। সামাজিক নিয়মনীতি আর স্বীকৃতি তোয়াক্কা না করেই অবাধে নিরন্তর কাবিনবিহীন কামুক মিলামিশা। সময়অসময়ে নির্লজ্জ কুকুরের মতো অভিসারে যায় হৃদয়ের জমিন বিলিয়ে দিতে চাষাবাদের জন্য। নিয়ন্ত্রণহীন পরকীয়ায় পাগলের প্রলাপ বেড়েই চলেছে আষাঢ়ের ঢলের মতো। কেহ কোনো কথা বললেই রাসেল’স ভাইপারের মতো করে কপোকাত। কারণে অকারণে ফণা তোলে গোখরার মতো আর এনাকুন্ডার ন্যায় গ্রাস করে নিমেষেই।
অবৈধ অনৈতিক তান্ডবলীলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বুকের জমিন। নিরুত্তাপ নির্বিক চেয়ে থাকা বোবা প্রাণীর ন্যায়। এই যেনো ভিতু মার্জারে অবিকল প্রতিমূর্তি। সাহসী বিপ্লবীরা আছে তাদের মতো ঘুমে, যারা কবরে আছে অনাদিকাল ধরে। তবে কি চলবেই ঐসব পতিতাবৃত্তি, যার দরুন বংশের পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে কালের গহীন অন্ধকারে।
বিশ্রী দাম্ভিকতা আর ক্ষমতার মেকি উল্লাস বেশি স্থায়ী হয় না। আদ-সামুদ, ফেরাউন, নমরুদ, বখতে নসর এবং চেঙ্গিস বাহিনীর করুণ পরিণতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই অধঃপতনের ইতিহাস ক্রমান্বয়ে রচিত হবে। তুমি-ই তার একমাত্র উপজীব্য।
আমরা মানব না, মেনে নিতে পারিনা। আমরা জাগব। আমরা আসহাবে কাহফের সেই সাত যুবক। আমরা রুখব। আমরা বদরের তিনশত তেরজন। আমাদের কাছে পদানত হয়েছিল তদানিন্তন রোম সম্ররাজ্য আর পারস্য অপশক্তি।