লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্ৰাম সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৩ টি ভারতীয় গরু আটক করেছে টাস্কফোর্স। তবে এ সময় চোরাকারবারীরা পালিয়ে গেলে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
গতকাল ১০ মার্চ (বুধবার) বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম মহিমপাড়া ঘাটের পাড় এলাকায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর অধীনে গরু চোরাচালানের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করেন পাটগ্রাম উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুবেল রানা। এছাড়াও আইসি দহগ্রাম এর পুলিশ ফোর্স, রংপুর ৫১ ব্যাটেলিয়ন এর দহগ্রাম বিজিবি কোম্পানি কমান্ডারের প্লাটুন দল, পাটগ্রাম উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দুইজন কর্মকর্তা উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।
ঘটনার সূত্র থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরাচালানকৃত গরুর বিষয়ে উক্ত এলাকায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুবেল রানা, প্রাণীসম্পদ অফিসের দুইজন কর্মকর্তাসহ পেশকার ও অফিস সহায়ককে সাথে নিয়ে উপজেলার দহগ্রাম এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর চোরাচালানকৃত গরুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও বিজিবিকে জানান টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এরপর পুলিশ এবং বিজিবি ফোর্সসহ এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে টাস্কফোর্সের অভিযান শুরু করেন ৩ ব্যাক্তির গোয়াল ঘর ও পাশের ভূট্টা ক্ষেত থেকে সর্বমোট ৩৩ টি চোরাচালানকৃত হারিয়ানা, ফ্রিজিয়ান, শাহীবল জাতের ভারতীয় গরু জব্দ করেন।
জব্দকৃত গরুগুলো চেয়ারম্যান দহগ্রাম এর জিম্মায় দেওয়া হয় এবং মামলাটি বিচারার্থে আদালতে উপস্থাপন করার জন্য আইসি দহগ্রামকে নির্দেশনা দেন। প্রতিটি গরুর আনুমানিক গড় মূল্য প্রায় লাখাধিক ।
এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রুবেল রানা বলেন, এর আগেও গরু চোরাচালান বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু এর আগে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে খবর পেয়ে গরু চোরাচালানকারী ব্যক্তিরা চোরাচালানকৃত গরু অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। কিন্তু এবার বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গরু চোরাচালান বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।