নিহারেন্দু চক্রবর্তী, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে তিন ফসলি উর্বর জমির মাটি ভেকুদ্বারা কেটে সয়লাভ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় অবৈধভাবে ভেকু লাগিয়ে মাটি বিক্রি করছে তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ পূর্বভাগ ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের দুই সহোদর রফিকুল ও শফিকুল ভেকু (মাটি কাটার যন্ত্র) দ্বারা প্রভাব খাটিয়ে তিন ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করছে। এতে সৃষ্ট ধূলা বালির কারণে চলাচলের অসুবিধাসহ তিন ফসলি জমির মারাত্মক ক্ষতির আশংকায় রয়েছে এলাকাবাসী। বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেও কোন সুরাহা পায়নি স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার ভুক্তভোগী শামীম আহম্মেদ গত ২৮/১২/২০২২ খ্রীঃ তারিখে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার ৪ ঠা জানুয়ারী অভিযোগকারীর সামনে অভিযুক্ত রফিকুল ও শফিকুল কে তলব করেন ইউএনও। তাৎক্ষনিক ইউএনও মহোদয়ের সকল শর্ত মেনে নিলেও রফিকুল ও শফিকুল পরে একইভাবে ভেকুদ্বারা ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া অব্যাহত রাখে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুই একর ৪০ শতাংশ জমির মাটি ভেকু দ্বারা কেটে নিচ্ছে তারা।
সেখানে উপস্থিত রফিকুল কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, সে জানায় ইউএনও মহোদয় লোক দ্বারা মাটি কাটার জন্য বলেছে। মানুষ পাওয়া যায়না তাই ভেকু দ্বারা মাটি কাটছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম কে অবগত করলে তিনি জানান, বিএস খতিয়ানে ৪৯ শতাংশ পুকুরের জায়গা তাদের কে কাটতে বলা হয়েছে, তবে ভেকু নয় কোদাল ও মাথা করে লোক দ্বারা কাটতে বলা হয়েছে। দুই একর ৪০ শতাংশ উর্বর জমি ভেকু দ্বারা কাটা অব্যাহত রয়েছে জেনে ইউএনও বলেন, আমি নায়েব কে সেখানে পাঠাচ্ছি।
শংকরাদহ ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা(নায়েব)হারুন অর রশীদ এ বিষয়ে বলেন, রফিকুল ও শফিকুল কে আমি চিনিনা। তাদের পক্ষ হয়ে খোকন নামে একজন আমার সাথে যোগাযোগ করে।
প্রশাসনের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ভুক্তভোগী