মোঃ আব্দুল হান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সি,এ মোঃ বিল্লাল মিয়ার একটি এনড্রয়েট মোবাইল চুরির দায়ে চাকুরী গেল অত্র কার্যালয়ে কর্মরত ন্যাশনাল সার্ভিসের স্টাফ নাসিরনগর সদরের মৃত বাবুর্চি আক্কাস মিয়ার ছেলে ও নুরপুর গ্রামের জজ মিয়ার মেয়ের জামাই মোঃ আব্দুল্লা আল মামুনের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানায়,মামুনকে তার যাবতীয় অপকর্ম থেকে মামুনের শ্বশুর জজ মিয়া রক্ষা করে বিধায় মামুন দিনের পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
জানা গেছে আব্দুল্লা আল মামুন সরকারের ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করেন।মামুন নাসিরনগর সদরের স্থানীয় হওয়া সেখানে যোগদানের পর থেকেই তার শ্বশুরের আশ্রয় প্রশ্রয়ে স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে শুরু করে।তখন থেকেই মামুনের বিরোদ্ধে শুরু হয় নানা অভিযোগ।মামুনের বিভিন্ন দুর্নীতির কারনে মামুনকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একবার বেরও করে দেয়া হয়। রাইটার আলাউদ্দিন জানায়,পূর্বেও মামুন নাসিরনগর সদরের গ্রামীণ ফোনের ডিলার অসিত দাসের দোকান কাহেতুরা গ্রামের এক প্রবাসী একটি দামী মোবাইলের কাভার লাগানোর জন্য নিয়ে আসলে মামুন সুকৌশলে সেই মোবাইলটি চুরি করে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় ভাবে মোবাইল মালিককে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে তা সমাধান করা হয়।
সম্প্রতি মামুন ইউ,এন,ও অফিসের সি,এ মোঃ বিল্লাল মিয়ার একটি মোবাইল অফিস থেকে চুরি করে নিয়ে মোবাইলের আই এম,আই ই নাম্ভার পরিবর্তন করে কলেজ মোড়ে অবস্থিত বিছমিল্লাহ হোটেলের এক কর্মচারী টেকানগর গ্রামের-
সামিউলের নিকট ৬ হাজার টাকা বিক্রি করে দেয়।
মোবাইল চুরি যাওয়ার পর সি,এ বিল্লাল মামুনকে মোবাইলটি ফেরৎ দেয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও মামুন মোবাইল চুরির কথা স্বীকার না করায় সি,এ বিল্লাল নাসিরনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে।ডায়েরীর পর থেকে নাসিরনগর থানার এস আই রূপন নাথ মোবাইলটি উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে সম্প্রতি মোবাইলটি কলেজ মোড়ে অবস্থিত বিছমিল্লাহ হোটেল থেকে উদ্বার করতে সক্ষম হয়।
মামুনের মোবাইল চুরির এ ঘটনা নাসিরনগরের সৎ বিজ্ঞ ও ন্যায় বিচারক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোনাব্বর হোসেনের কাছে পৌছলে তাৎক্ষনিক তিনি মামুনের অভিভাবকদের তার কার্যালয়ে ডেকে এনে ৩শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে মামুনকে চাকুরিচ্যুত করে এবং মামুন যেন,ইউ,এন,ও থানার রাস্তা না আসে সেই বিষয়ে মোচলেখা রেখে ছেড়ে দেন।ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার এ ন্যায় বিচারের সন্তোষ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী সহ সর্বস্তরের জনতা।
সি,এ বিল্লালের সাথে যোগাযোগ করে তার মোবাইল চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে বিল্লাল ভারপ্রাপ্ত ইউ,এন,ওর বিচারের সন্তোষ প্রকাশ করে।বিল্লাল জানায় শুধু একটা নয় তার পরপর তিনটি মোবাইল চুরি হয়েছে।