আকিকুর রহমান রুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনগণের আন্দোলনের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ১৩ই অক্টোবর বিকাল ৩টায় বানিয়াচং বড় বাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে শায়খুল হাদিস আল্লামা শায়েখ মুখলিছুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও
মাওলানা মশিউর রহমান ও মাওলানা ইমরান আহমদ ওসমানী’র এর যৌথ সঞ্চালনায়
বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও পাড়া-মহল্লা থেকে আলেম-উলামা, মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ধর্মপ্রাণ হাজার-হাজার মানুষ খন্ড খন্ড মিছিলসহকারে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হন। মিছিলটি বড় বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসরাইলকে উগ্র-সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিনের মুক্তির পক্ষে ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন সর্বস্তরের উলামায়ে কেরাম ও হাজার হাজার তৌহিদী জনতা।
মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস কর্তৃক মুসলিমদের প্রথম কাবা আল আকসা রক্ষায় “তুফান আল আকসা”মিশনের অংশ হিসেবে ইসরায়েল রকেট হামলা করে।এরই জের ধরে গাজায় ব্যাপক হত্যা ও বর্বরতা চালায় ইসরায়েলী সৈন্যরা। এতে বেসামরিক লোকজন,নারী শিশুসহ চারশতাধিক এর উপরে নিহত ও সহস্রাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, দখলদার ইসরায়েল আমাদের প্রথম কেবলা দখল করার পাঁয়তারা করছে।মুসলিম হিসেবে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।পশ্চিমা মিডিয়াগুলো এটাকে ওয়ার ইন ইসরায়েল বলছে।তারা চায় গাজা থেকে চিরতরে মুসলিমরা সরে যাক। আমাদের প্রথম কেবলা তারা দখল করে নিতে চায়। আমরা মুসলিম হয়েও তাদের সাহায্য করতে পারছি না।আজকের এ বিক্ষোভ মিছিল থেকে আমরা সহানুভূতি জানাচ্ছি। বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যদি মুসলিমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তাহলে আমাদের দেহও যেন আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি তার নিজ অবস্থান থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে একজন মুসলিম আক্রান্ত হলে আমাদের দেহ’ই আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে করি।আজকের বিক্ষোভ থেকে আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।
পাশাপাশি বাংলাদেশে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যত পণ্য আছে সেগুলো বর্জন করার আহবান জানান।অবিলম্বে এ দেশ থেকে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্বব্যাপী শান্তির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।