অসম বাধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে, দীর্ঘ লড়াই শেষে আমার প্রিয় ছোট ভাই আলমগীর গ্লোবাল টেলিভিশনের চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পেলো আজ। নিয়োগ সংক্রান্ত চুড়ান্ত নির্দেশনা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই সে টিভি চ্যানেলের এমডি’র দপ্তর থেকে সরাসরি হাজির হয়েছিল আমার কাছে। আম রা স্বানন্দে মিষ্টিমুখ করেছি, করিয়েছি। অনেক ভাল লেগেছে। তার যুদ্ধজয়ের অনুভূতি আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করেছে। একটি মিডিয়ায় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর লগ্নে শুধু বলেছি, “যদি মিডিয়ায় জেলাবাসীর জন্য নতুন কিছু উপহার দিতে না পারো, যদি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নিজে দলে যেতে না পারো তাহলে ঠিক এম মাস পর নিজেই স্বেচ্ছায় আইডি কার্ডসহ সব ফেরত দিয়ে নিজের ব্যর্থতার কথা নিজেই জানান দিয়ে দিবে।” এতে আর কিছু না হোক, সারাদেশের সাংবাদিক সমাজ অন্তত ব্যর্থ সাংবাদিক হিসেবে হলেও একজন আলমগীরকে মনে রাখবে, নিজেদের ভালবাসার ছায়ায় রাখবে। আলমগীর তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোহাম্মদ আবু সাঈদের উপস্থিতিতে সে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তবেই বিদায় নিতে পেরেছে। অতএব, চাঁপাইনাবগঞ্জের আপামর সাংবাদিকদের কাছে বিনয়ী আবেদন রাখছি, একজন সংবাদ কর্মিকে পাল্টে যাওয়ার, বদলে দেয়ার সুযোগ দিন। অতীতের ভুল ত্রুটি নিয়ে আজকের আলমগীরকে মূল্যায়ন না করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দিন। (যদিও আমি তার কোনো অপরাধ না জেনেই আবেদন করছি, জানতেও চাই না কোনো অসম্মানকর তথ্যাদি)।
স/মএফ