আসুন জেনে নেই একজন পেশাদার সংবাদকর্মী”র প্রতিদিনের পরিশ্রম কি?
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায়, সারাদিন সংবাদ সংগ্রহ করে। কোথায় গোসল? কোথায় ভাত? কোথায় রেস্ট?
সন্ধ্যার পর ল্যাপটপে বসে তারপর নিউজ ভালোভাবে এডিট করেন। সংবাদটি লিখেন, তারপর বাছাই করে কোথাও ভুল আছে কিনা। ভুল থাকলে সংশোধন করা। এর ফাঁকে যদি আবার শুনা যায় একটি দূর্ঘটনা কিংবা কোথাও কোন সমস্যা হয়েছে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌছানো।
আরো জেনে নেই!!
একটি সংবাদ করতে গেলে কত জন লোকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয়?
প্রথমে বাদীর কথা, তারপর বিবাদীর কথা, তারপর এলাকাবাসির কথা. তারপর চেয়ারম্যান/ মেম্বারদের কথা, তারপর প্রশাসনের কথা। এই সংবাদ তৈরি করতে কতজন লোকের নিকট যেতে হয় আর কতটা কষ্ট অনুভব করা যায়। প্রত্যেক লোকের কাছে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলে জানতে হয় বিষয়টির সম্পর্কে। এতে সময় কতটুকু প্রয়োজন?
আবার কখনো সংবাদটি পরিবেশন এর পর আসে হুমকি দামকি এমনকি হতে পারে মামলাও। এখানে আমার প্রশ্ন এগুলো কি আমার নিজের স্বার্থের জন্য না মানুষের স্বার্থের জন্য?
বর্তমানে যে কোন পেশার লোকের সর্বনিম্ন বেতন কমপক্ষে ১২০০০ থেকে ১৮০০০ হাজার টাকা,
আর একজন সংবাদকর্মী সামান্য কিছু বেতন পেয়ে থাকে তা পকেট খরচ হিসেবে। এই বেতন দিয়ে কি পরিবার চলে?
এরমধ্যে যদি কেউ মনে করেন ঘুষ খায়!
আসেন ঘুষের সম্পর্কে জেনে নেই, গ্রামগঞ্জের সংবাদ টাকা তো দুরের কথা একগ্লাস পানিও পায় না।
আসুন শহরের সংবাদ সরকারি অফিস আদালতের দূর্নীতি ধরা পড়লো এখানে আসলো কোন ক্ষমতাসীন ব্যক্তির ফোন বা হুমকি সে আমার লোক।
এরমধ্যে কেউ যদি বলেন তাহলে চলে কিভাবে? একজন সাংবাদিকের কাছে কি প্রতিদিন দূর্নীতির তথ্য আসে? আসতে পারে প্রতিমাসে একটি আবার দুইমাস পরেও একটি কিন্তু তা প্রচার করবে কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়ার আগেই কোন বড় ধরনের ব্যক্তির ফোনে আতংকিত হয়ে যায়।
তাহলে এতকষ্ট করার পর কেন সাংবাদিকেরা বেতন পাচ্ছেননা? ভাতা পাচ্ছেনা?
সাংবাদিকরা তো রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। একজন শ্রমিক যদি প্রতিমাসে বেতন পেতে পারেন তাহলে একজন সাংবাদিক পাবে না কেন?
পরিশেষ, কোন সংবাদ-কর্মী টাকার আশায় সাংবাদিকতা না, সম্মান আর মানুষের ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকতা করেন। সত্য ঘটনা তুলে ধরা, অসহায় মানুষের কথা বলাই সাংবাদিকের দায়িত্ব।
দেশে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক উন্নয়নের কথা কারা তুলে ধরেন বিশ্বের কাছে সাংবাদিক না অন্যরা। দেশের প্রতিটা কাজেই সাংবাদিকদের অবদান রয়েছে এবং আছে থাকবে যতদিন পৃথিবী আছে।
কিছু লোকের মুখে মাঝে মাঝে শুনতে পাই সাংবাদিকেরা চাঁদাবাজি করে।
এটা সম্পর্কে একটু জানি, কোন ব্যক্তি অপকর্ম করলে ১হাজার টাকার উপরে কেউ ঘুষ দেয় না। তার আগেও নেতাদের হাত ধরে ফেলেন।
আর সাংবাদিকরা তো আপনাদের মতো গরিব অসহায়সহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কথা তুলে ধরেন। যখনি দেখেন কেউ খুশি হয়ে পাচঁ টাকা পকেটে মধ্যে ভরে দিচ্ছেন, তখনি বলেন সাংবাদিক চাদাঁবাজি করছে অথচ যেটা পাওয়ার কথা ছিলোনা সাংবাদিকদের জন্যই সেটা ফিরিয়ে পেয়েছে।
আর যারা দূর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তাদেরকে কিছু বলতে পারছেন না। তাদেরকে বলবেনইবা কিভাবে, তারা তু অনেক বড় লোক আছে প্রচুর টাকা ও গোন্ডা বাহিনী তাই তাদের সাথে যুদ্ধ করে পারবেন না। আর সাংবাদিক তু কোন গোন্ডা নয়, তাই যা ইচ্ছে তাই বললেও সমস্যা নাই!!
একজন সংবাদকর্মী কতটা কষ্ট করে তা আপনি জানেন না। কখনো যদি জানতেন এইভাবে কথা বলতেন না। রোদ্র নেই বৃষ্টি নেই, পঁচা পানি নেই ২৪টি ঘন্টা গাধাঁর মতো খেটে থাকে।
কোন লোককে জীবনে দেখছেন কোমড় সমান পযর্ন্ত পানিতে নেমে অসহায় মানুষের কথা তুলে ধরতে?
সবাই এসির রুমে বসে বাতাস গ্রহণ করছে আর সাংবাদিক কনকনে শীতেও পঁচা পানিতে নেমে সাঁতার কেটে সংবাদ সংগ্রহ করছে শুধু তাই নয় বিভিন্ন মারামারি ডাঙ্গাহাঙ্গামার মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খবর সংগ্রহ করে থাকেন।
অনেক সময় রাজনৈতির হিংসা প্রতিহিংসার নিউজ করতে গিয়ে সাহসী সাংবাদিকের জীবনও দিতে হয়, যেমন- সাগর রনির মতো অসংখ্য সৎসাহসী সাংবাদিককে জীবন দিতে হয়েছে!
দুংখের বিষয় হলেও সত্যি এই যে, যে সাংবাদিক কলমের লিখনিতে অসহায় নির্যাতিত মানুষের অধিকার পায়িয়ে দেয়, বিচার পায়িয়ে দেয়, অথচ এই দেশে সাংবাদিক খুন হলে বিচার হয়না!!
একবারো কি ভেবে দেখেছেন, সত্যিকার একজন সৎসাহসী সাংবাদিকের জীবন কতটা রিস্কি?
আসুন সাংবাদিকদের ভালোবাসি, তাদের পাশে থেকে সংবাদ সংগ্রহণে সহযোগিতা করি!!
পরিশেষে কথা হল যে,
মাননীয় সরকারের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এইযে, সাংবাদিক এই দেশের বিবেক, অসহায় নির্যাতিত মানুষদের প্রাণ!
তাই সাংবাদিক তালিকা প্রনয়ন করে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য সরকারী বেতন ভাতার জোড় দাবী জানাচ্ছি!!
- খোলামত
- আরো
- গাইড
- বাংলার খবর
- গ্রামবাংলা
- জনদুর্ভোগ
- জানা অজানা
- বিশেষ খবর
- রাজধানী
- শিক্ষা ও সাহিত্য
- সর্বশেষ
- সারাদেশ
- হোম