এম এ কাদেরঃ প্রবাসী সূত্রে নাম প্রকাশে বেশ কিছু মেয়ে ও মহিলা জানান কাতার প্রবাসী আব্দুর রহমান রাজিব নামে এই ছেলেটি সিলেট আম্বরখানা বাড়ী, সিলটি ঠিকানা দিয়ে কাতারে চাকুরীরত থেকে দেশ ও বিদেশের কয়েক ডজন মেয়ের সাথে প্রেমর সম্পর্ক
গড়ে তুলে একের পর এক মেয়েদের সাথে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলেছে । সে তার পরিবারের একমাত্র সন্তান বলে পরিচয়ে প্রথমে মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে । তার পর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয় তার প্রতারণার ফাঁদ । শুধু তাই নয় প্রেমের সম্পর্ক
গভীর করার পর সু-কৌশলে মেয়েদের ছবি দিয়ে ফটো এডিট করে নোংরা ভিডিও তৈরী করে মেয়েদের কে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করা ।
কে এই প্রতারক কাতার প্রবাসী আব্দুর রহমান রাজিব এর আসল পরিচয় কি ? জানতে চায় সমাজের বিবেকবান সচেতন লোকদের কাছে, প্রতারনার শিকার হওয়া মেয়েরা । যদি আপনি এই প্রতারকের পরিচয় জানে, জানাতে পারেন আমাদের কে । হয়ত আপনার সামান্যতম একটু সহযোগিতায় বেছে যাবে আরো অনেক মায়ের সন্তান, আপনার আমার বোনও রেহাই পেতে পারে এই প্রতারকের হাত থেকে ।
সংবাদ প্রকাশের শেষ অনুসন্ধানে জানা যায়, সে এখন কাতারে নেই । বর্তমানে সে বাংরাদেশে রয়েছে তাই প্রশাসনসহ সকলের কাছে এই দৃষ্টিপাত করা যাচ্ছে যে,এই প্রতারক কাতার প্রবাসী আব্দুর রহমান রাজিব এর আসল পরিচয় কি তুলে ধরে আইনের আওতায় আনতে সকলের ঐক্যবদ্ধতা কামনা করছেন প্রতারনার শিকার পরিবারের সদস্যরা ।
এই প্রতারক কাতার প্রবাসী আব্দুর রহমান রাজিব এর কাতারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার 0097470396983
ব্ল্যাকমেল কি আমাদের সমাজের সকলেরই মোটামুটি ধারনা রয়েছে তার পরও ব্ল্যাকমেলের বিষয়ে কিছুটা তুলে ধরা হলঃ
ব্ল্যাকমেল হচ্ছে একটি কাজ, প্রায়ই একটি অপরাধমূলক কাজ,যা হুমকি দিয়ে অন্যায়ভাবে কোন কিছু আদায় করা (সাধারণত টাকা বা সম্পত্তি) বা কোন চাহিদা পূরণ না করলে অন্যায়ভাবে ক্ষতি করাকে বোঝায়।সাধারণত এই অপরাধের সাথে যথেষ্ট সত্য বা মিথ্যা তথ্য সবার নিকট বা জনসম্মুখে প্রকাশ করে কোন ব্যক্তির, বা তার পরিবারের সদস্য, বা তার সহযোগীর শারীরিক ক্ষতি করার বা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করা হুমকি দেবার কর্মকাণ্ড জড়িত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় এটি একটি সংবিধিবদ্ধ অপরাধ, এবং অন্য কোন অপরাধকে সহজতম উপায়ে বুঝাতে বা নির্দেশ করতে এটি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু ১৮৬৮ সালের পূর্বে ইংরেজি আইনে এর সংজ্ঞা লেখা ছিল না। ব্ল্যাকমেল শব্দটি দ্বারা আসলে স্কটল্যান্ড সীমান্তে ইংল্যান্ডের অধিবাসী কর্তৃক তাদের গোষ্ঠী প্রধান বা স্কটিশ ভূস্বামীদের খাজনা প্রধান করা বুঝাতো যা তারা স্কটিশ চোর বা ডাকাতের হাত থেকে সুরক্ষার বিনিময়ে দিয়ে থাকতো।
ব্ল্যাকমেলকে এক প্রকারের চাঁদাবাজিও বলা যেতে পারে। সাধারণতঃ শব্দ দুটি সমার্থক হলেও, চাঁদাবাজি ভবিষ্যতে ক্ষতি করার হুমকি দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়াকে বুঝায়।
ব্ল্যাকমেল হচ্ছে হুমকি ব্যবহার করে আরেকজনকে বৈধ অধিকার থেকে বিরত রাখা এবং কুৎসাপূর্ণ চিঠি বা এমন চিঠি লেখা যা শান্তি ভঙ্গ করে এবং সেইসাথে ভীতিপ্রদর্শন করে অপরিশোধিত ঋণ আদায় করাকে বোঝায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু কিছু রাজ্যে অন্য অপরাধের মধ্যে পার্থক্য করা হয় এইভাবে যে ব্ল্যাকমেইলের লিখিত প্রমাণ থাকতে হবে।কিছু কিছু দেশের আইন অনুযায়ী, অনেক সময় ডাকাতি চলাকালিন সময়ও ব্লাকমেল করা হয়।এই ঘটনাটি ঘটে যখন একটি অপরাধী ডাকাতির অংশ হিসেবে কিছু ছিনিয়ে নেবার জন্য অন্য কারও প্রতি অবিলম্বে সহিংসতার হুমকি দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কোন কিছু আদায় করার জন্য “তোমার টাকা, বা তোমার জীবন” এই সহিংস হুমকিটি একটি বেআইনি হুমকি