চা শ্রমিকদের দুই দিনের আল্টিমেটাম সাড়ে ৪ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ

0
34
মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ রবিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টায় হবিগঞ্জের মাধবপুরের জগদীশপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ চরে ৪ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী সমান্তের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল। তবে এই দুইদিনও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান এই চা শ্রমিক নেতা রবিবার সকাল ৯টা থেকে লম্বরপুর ভ্যালির আওতাধীন চুনারুঘাটের ১৭, মাধবপুরের ৫টি চা বাগানের কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধের জন্য নিজ নিজ বাগানে জড়ো হন। পরে পায়ে হেঁটে ও বিভিন্ন যানবাহনে করে মুক্তিযুদ্ধ চয়রে আসেন বিক্ষুব্ধ
শ্রমিকরা। এসময় তারা ন্যায্য মজুরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগ্রহ কামনা করে প্লেকার্ড প্রদর্শন করে শ্লোগান দেন।
এই অবরোধের কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুইপাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। যে কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অবরোধ সমাবেশে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে আমাদের সাথে মশকরা করা হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তর মালিকের নাগালি করেছে।
আমরা দুই সপ্তাহ যাবত আন্দোলনে করছি। অথচ কোন নেতা আমাদের খোঁজ নেয়নি। কাজ না করায় চা শ্রমিকের রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। অথচ এই নেতারাই ভোটের সময় জামানের কাছে এসে আপনজন হয়ে যায়।অবরোধ সমাবেশে নৃপেন পাল ছাড়াও বক্তব্য রাখেন লঙ্কাপুর আলির সভাপতি রবীন্দ্র গোঁড়, চা শ্রমিক নেতা মোহন রবিদাস ও খায়রুন আঙ্কার প্রমুখ।
২৩ আগস্ট ঢাকায় আধামন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে চা শ্রমিকের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। সেদিন যদি চা শ্রমিকের সারিকে অগ্রাহ্য করা হয় তাহলে ২৪ আগস্ট আবারও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মরণপণ অবস্থান নেবে সকল চা শ্রমিক। এই হুঁশিয়ারি দিয়ে শঙ্করপুর ভ্যাগির সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় বলেন, মহাসড়কে মুক্তিযুদ্ধ চর ও শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজে অবস্থান নেয়ার কথা ছিল।পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়েছি,আমাদের ইচ্ছা ছিল সরকারের কোন দায়িত্ববান কেউ আমাদেরকে ৩শ’ টাকা মজুরির দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে চা শ্রমিকদের বাগানে ফেরানো হবে। কিন্তু কেউ আসেনি। এখন মহাসড়কে চলাচলরত মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে মহাসড়ক ছেড়েছি। তবে ২৩ আগস্টের বৈঠকে ৩০০ টাকার দাবি পূরণ না হলে চিড়া, গুড়, চালের গুড়া নিয়ে মহাসড়কে বসব। তখন জীবন গেলেও মহাসড়ক ছাড়ব না। চা শ্রমিকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here