এম এ কাদের, সরজমিন প্রতিবেদকঃ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক সহকারী শিক্ষক বর্তমানে কুন্ডা উচ্চবিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ভোলাউক বাসিন্দা মাওলানা জসিম উদ্দিন সহ গ্রামের আরো নিরীহ ৬ জনের বিরোদ্ধে জসিমের আপন বড় ভাই নুর উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম বাদী হয়ে গত ৫ই এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি,আর মামলা নং -১৭৯/২৩ এ চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পিবিআই-এ তদন্তদিন রয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়। মাওলানা ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুর, তিনি ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের মোবাল্লিক ও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসলাম ইসলাম শিক্ষা । তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে দারুল কেরাত মাজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্টের খামিছ জামাতের পরিক্ষকও বটে। এছাড়া তিনি দীর্ঘ বছর যাবত মসজিদের ইমাম ( খতিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগে ২০০৮ সালে ইমাম প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ইমাম পুরস্কার পাপ্ত ।
কেমন করে এমন একজন ব্যক্তির উপর মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও অস্তিত্বহী অভিযোগ দায়ের করতে পারল জাহানারা বেগম। তার নাটেরগুরু কে? জানতে চান নাসির নগর উপজেলার সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গরা।
এমন মামলা দায়ের করায় ভোলাউকের সমস্ত গ্রামবাসী সহ আশপাশ এলাকা ও নাসির নগর উপজেলার সচেতন মহল ও আলেম উলামরা চিন্তিত এবং প্রতিবাদের ঝড় বইছে ভোলাউক তথা নাসির নগর উপজেলা জুড়ে।
স্হানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ উলামায়ে কেরামগন বলেন,ওলানা ক্বারী জসিম উদ্দিন শুধু শিক্ষকতাই করেন না এসাথে তিনি স্হানীয় একটি মসজিদের জুম্মা নামাজ পড়ানোর ইমামের দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন। যদি একজন ইমাম সাহেবের উপর এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলতে পারে জাহানারা বেগম তাহলে আগামীকাল কে তার হাত থেকে রেহাই পাবে? এখনি উপযুক্ত সময় জাহানারার সঠিক বিচার করার। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমরা। যাতে করে এর একটা বিহিত নজিরবিহীন হিসেবে আমরা এবং আগাম প্রজন্মরা দেখতে পারি।
এ বিষয়ে সরজমিনে এলাকায় গিয়ে মামলায় জসিম হুজুরকে আসামী করার কারন জানতে চাইলে বাদীনি বলেন, ডাকাতির সময় জসিম হুজুর বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল। বাকী পাঁচজন ঘরের ভেতরে গিয়ে মালামাল লুটপাট করে। এবং বাহিরে আরো বেশ কিছু লোক দাড়িয়েছিল। এক পর্যায়ে বাদীনির কাছ থেকে জানতে চাইলে, তিনি কৌতুহলি দৃষ্টি বলেন, ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা আমার ঘরে প্রবেশ করেনি বলে তাদের আসামী করিনি। অথচ বাদীনির স্বামী মোঃ নুর উদ্দিন বলেন, আমার ছোট ভাই জসিম ( মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুর) এদিন বিকালে বাড়িতে এসে সবাইকে ডাকাতি করার জন্য নির্দেশ দিয়ে চলে যায়।
গ্রামের সুরব্বি অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ শিরু মিয়া গ্রাম পুলিশ মোঃ আব্দুল আওয়াল, ইউপি সদস্য মোঃ ইলিয়াছ মিয়া, স্থানীয় মসজিদের ইমামসহ আশপাশের শত শত নারী পুরুষ জানায়, ভোলাউক গ্রামে এ ধরনের কোন চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।জমি থেকে পানি নিস্কাশনের রাস্তা নিয়ে দু পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়েছে। জসিম হুজুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা তারা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং মামলা দায়ের করায় ফুঁসে উঠেছেন এলাকাবাসী।
এলাকায় সরজমিন ঘুরে চুরি ডাকাতি ছিনতাই ও মালামাল লুটপাট এর বিষয়ে কোন সততার প্রমান পাওয়া যায়নি । তবে জমির পানি নিস্ক্রিয় ( ভাটি) নিয়ে সংঘর্ষের তথ্য প্রমান পাওয়া গিয়েছে। ঐ সংঘর্ষে একজন নিরীহ ব্যক্তির একটি চোখে ঘা পড়ায় পরিবারের ৫/৬ সদস্য নিয়ে মানবতের জীবন যাপন করছেন।
এলাকাবাসী জানায় জাহানারা বেগম খুব ভয়ংকর, দুষ্ট চরিত্রের প্রকৃতির মহিলা। যার স্বামী হাজীসাব তিনি দিন রাতে ক্ষেত খামারে পুরুষের ন্যায় কাজ কাম করে বেহায়া বেপরোয়া ব্যবহার করে সমাজকে বৃদ্ধা আঙুল দেখি চলাচল করে। ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি মুখ খুলতে সাহস পায় না।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম হুজুর বলেন, আমি আল্লাহর দরবারে সবুর করার পাশাপাশি মামলাটি সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রয়োনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুবিচার দাবী করছি।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। প্রকৃত সত্য উদঘাটন করেই আদালতে চার্জসীট দেয়া হবে। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে কোন লোককে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো সম্ভব হবে না।