এম এ কাদের, মাধবপুর থেকেঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ছালাহাবাদ মাদ্রাসা গেইট নামকস্হানে আজ ( ৬ ই ফেব্রুয়ারী) ঢাকাগামী কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট বাস কুমিল্লা – ব – ১১-০০৯৫ ও সিলেটগামী সেভেনসিটার (মেক্সি) সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয় এবং ১০জন যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের মাধবপুর ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার ভর্তির করা হয়েছে। উপজেলার বাঘাসুরা ছালাহাবাদ মাদ্রাসা গেইটে রবিবার দুপুর দিকে যাত্রীবাহীবাস ও চান্দের গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে চান্দের গাড়ীর ড্রাইভার ছায়েদ মিয়া(৫২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। নিহত ছায়েদ মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, দুপুর আড়াই দিকে সিলেট থেকে কুমিল্লা ট্রান্সর্পোটের একটি যাত্রীবাহী বাস উল্লেখিত এলাকায় একটি চান্দের গাড়ীর সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই চান্দের গাড়ীর ড্রাইভার ছায়েদ মিয়া নিহত হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এবং শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম জানান, গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে। তবে কুমিল্লা ট্রান্সপোর্টের চালক পলাতক আছে। পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস এর লোকজন আসার আগেই স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করায় তাদের নাম ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা ট্রান্সপোর্ট বাসটি সেভেনসিটারের সাথে সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হরিতলা গ্রামের মোজ্জাম্মেল হকের বাড়ির বসত ঘরের দেওয়াল ভেঙে সম্পূর্ণ ঘরের পাটল ধরে। আবার ঘরের কোন কোন জায়গায় দেওয়াল দ্বিখণ্ডিত হয়েগেছে। এছাড়া পাশে আরেকটি চার চালা টিনের ঘরও ভাংচুর হয়। মোজ্জাম্মেল হক জানান, এই দুর্ঘটনায় তাহার আধাপাকা বসত নির্মাণ ঘরটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৫ লাক্ষাধিক টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
আর ঘটনার পর পরই হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মাঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে এস আই হাসান আলী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই বিষয় এস আই হাসান আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জরুরী দরকারে অন্যস্হানে চলে আসছিলাম বিধায় সকল তথ্য আমার কাছে নেই।