দুই গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার ।। বাঁশের সাঁকো পর্যন্ত নেই ! 

0
84

নিহারেন্দু চক্রবর্তী, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নে একটি ব্রিজের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয় সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা ও দাঁতমন্ডল গ্রামের স্কুল ও  মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।

নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা ঈদগাহ সংলগ্ন নদীর খালের উপর কাঁদা পানির দূর্গম পথ পেড়িয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করে ওই দুই গ্রামবাসী।বর্ষা মৌসুমে চলে নৌকা, বর্ষার পানি কিছুটা কমে গেলে এলাকার নৌকার মাঝিরা মিলে তৈরী করে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।বর্তমানে চলাচলের জন্য বাশেঁর সাকো পর্যন্ত নেই। কুলিকুন্ডা থেকে আধা কিলোমিটারের কম দূরত্ব দাঁতমন্ডল এরফানিয়া আলীম মাদ্রাসার অন্তত ৪/৫ শত শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন কাদা পানি দিয়ে খাল পার হচ্ছে। যুগের পর যুগ এলাকাবাসীর ভোগান্তি হলেও দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিটি স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচন এলেই ভুক্তভোগী বাসিন্দারা এখানে ব্রিজের আশ্বাস পায়। কিন্তু বাস্তবে আজও তা স্বপ্ন।

দাঁতমন্ডল এরফানিয়া আলীম মাদ্রাসার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বহু সরকার আসলেও দুটি গ্রামের খালের মধ্যবর্তী স্থানে অদ্যাবধি একটি ব্রিজ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ কেউ নেয়নি। আমাদের এলাকার বাসিন্দারা ও তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল- মাদ্রাসায আসা-যাওয়াসহ তাদের যাতায়াত করতে গিয়ে একান্ত বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ পথেই যাতায়াত করতে হয়। শিক্ষা কিংবা জীবনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ খাল পারাপার হয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি।

কুলিকুন্ডা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মনির খান বলেন, এ খাল দিয়ে অত্রাঞ্চলের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি নিয়ে পড়ালেখা করতে যায়। ফলে, সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন থাকেন। বিশেষ করে দুই গ্রামের শত শত কৃষকের যাতায়াতের রাস্তা এটি।

এদিকে এক ব্যাবসায়ীর বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারনে বিলম্ব হয়েছে, টেন্ডারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন। খুব শ্রীঘ্রই এখানে ব্রিজ নির্মান শুরু হবে।ঢাকার ওই ব্যাবসায়ী মোখলেছ ভূঁইয়ার সাথে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।

কুলিকুন্ডা ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজম মৃধার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, আগামী ৯ জানুয়ারী এখানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হবে। স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ ভালো বলতে পারবেন, আমি কিছুই জানিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here