নিজস্ব প্রতিনিধিঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন শুক্রবার বলেন, এখন যে টিকা আছে তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন টিকা আনার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর এ পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৬ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরুর পর থেকে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৫ জন টিকা নিয়েছেন। সে হিসাবে এখন মজুদ আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম করোনাভাইরাসের টিকাদানের দৈনিক ভিত্তিক তথ্য পাঠায়।
দ্বিতীয় ডোজ শুরুর পর থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময় ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৮ ডোজ টিকার প্রয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৫ জন এবং ২ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ জন নিয়েছেন প্রথম ডোজ।
এর মধ্যে তিন দিন টিকাদান বন্ধ ছিল। ১২ কার্যদিবসে দৈনিক গড়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৫ জন। সে হিসেবে মজুদ টিকা সাড়ে ১৩ দিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই টিকা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কেনা টিকা আর আসেনি।
এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় উপহার হিসেবে দিয়েছে মোট ৩২ লাখ ডোজ, সেগুলোও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যার মধ্যে ১২ লাখ ডোজ এসেছে গত ২৬ শে মার্চ।