সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ২০২৪ সালের শুরুতেই হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য উপকমিটির সদস্য, তৃণমূলের পছন্দের নেতা মমতাজ হোসেন চৌধুরী।
তিন উপজেলার দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষের পছন্দের এই মানুষটি এবার মনোনয়ন দৌড়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছেন। তিন উপজেলার ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে। সবার ধারনা বীর মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য উপকমিটির সদস্য মমতাজ চৌধুরী মনোনয়ন পাইলে ভোটাররা খুশি হয়েই ভোট দিবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এস এস সম্পন্ন করা মমতাজ হোসেন চৌধুরী ছাত্রজীবন থেকেই নানাভাবে জনসেবামূলক কর্মকান্ড ও ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৬৯-৭২ সাল পর্যন্ত মদন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ও নেত্রকোনা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য, সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি, সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য(১৯৭৮-৮০) ডাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি (কাদের-রবিউল) পরিষদের সদস্য, সাবেক সভাপতি ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ(জেদ্দা মহানগর আওয়ামী লীগ) (২০০১-২০১৭), সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৯৯৫-২০০১), কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য উপ কমিটির সদস্য (২য় বার), বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব,প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক হজ্ব সেবা কমিটি সৌদি আরবের সদস্য ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ছাত্রনেতা মমতাজ হোসেন চৌধুরী মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দেওসহিলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম সোহরাপ আলী চৌধুরী ও মাতা মরহুম ফাতেমা আক্তার খাতুনের কুল আলোকিত করে (১৯৫৭ সালের ৯ জানুয়ারি) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি সকল জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে এলাকায় সকল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত, দেশে অবস্থানকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা নেত্রকোনা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী) নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ও প্রত্যাক জাতীয় নির্বাচনে স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় অংশ গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন তিনি। তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ গ্রহণ করেন,লাল মুক্তিবার্তা নাম্বার-০১১৬০৯০৪৪০ গেজেট নং-২৯৭৪, তার আরেকটি উল্লেখ যোগ্য অবদান ১৯৮১ সালে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কালে বিমানে কর্মরত অবস্থায় ঢাকা এয়ারপোটে গ্রহণ ও বিমানের ফ্লাইটের দরজা খুলে অভ্যর্তনার বিরল সুযোগ।১৯৯৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা জেদ্দা সফর কালে সৌদি প্রবাসীদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বন্যার্তদের অনুদানের চেক হস্তান্তর।২০০৪ সালে বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনীর গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অনুদানের চেক প্রদান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারা অভ্যন্তরীন থাকা অবস্থায় জেদ্দা আওয়ামীলীগের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য তত্কালীন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাতে উল্লেখ যোগ্য পরিমাণ আর্থিক অনুদান, ফলশ্রুতিতে ভিজিএফআই কতৃক জিজ্ঞাসাবাদের শিকার, প্রধানমন্ত্রী কারাঅভ্যন্তরীণ হওয়ার পর সৌদি আরব থেকে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে প্রবাসে মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন মমতাজ চৌধুরী। ৯০ এর গণ আন্দোলন ৯১ ও ৯৬,২০০১,২০০৯,১৪,১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে ছিলেন তিনি। করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোসহ তিনি তিন উপজেলার গরীব-অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষদের পাশে থাকেন সব সময়, গরীব পিতার সন্তানদের বই-খাতা কিনে দেয়া, ধর্মীয় উৎসব গুলোতে মানুষের পাশে সর্বদাই থাকেন তিনি। মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, মমতাজ চৌধুরী একজন ভাল মানুষ হিসেবে সব জায়গায় পরিচিত, এমন মানুষকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত তো হবেনই পাশাপাশি তিন উপজেলার উন্নয়ন আরো এগিয়ে যাবে।
মদন, মোহনগঞ্জ,ও খালিয়াজুরীতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মমতাজ চৌধুরী একজন সৎ মানুষ, আমাদের বিপদে আপদে তিনি সব সময় পাশে থাকেন। দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিগত দিনে দলের দুঃসময়ে তিনি আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন।আমরা এবার তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মমতাজ চৌধুরী জানান, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন আর আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচিত হয়ে তিন উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।