মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোর অভয়নগরে নওয়াপাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় সহ জমি বিক্রয় বা হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাকালের পরে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরে তৎকালীন সভাপতি আবুল হোসেনের প্রচেষ্টায় শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ২.৪ শতক জমি ক্রয় করে যা মশরহাটি মৌজার ২২ নং দাগে অবস্থিত। উক্ত দাগে শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। সেই থেকে নির্ধারিত স্থানে কার্যালটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি কার্যালয়ের পাশে নওয়াপাড়ার স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজ একই মৌজার ২৩ নং দাগে জমি ক্রয় করে। যার কারনে ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল মোল্লাসহ সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের যোগসাজশে উক্ত শ্রমিক ইউনিয়নে ভবন ও জমি সাহারা এন্টারপ্রাইজের কাছে বিক্রয় বা হস্তান্তর করার পাঁয়তারা করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক এলাকাবাসী বলেন, নওয়াপাড়া জুট মিল বিক্রি হয়ে যাবে এমন সিদ্ধান্তে ইউনিয়নের জায়গাটি বিক্রিয গোপন তোড়জোড় চলছে।
এবিষয়ে বর্তমান সভাপতি আলমগীর হোসেনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন বিক্রয় বা হস্তান্তর সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমরা জমিটা শুধু মেপে দেখেছি।
নওয়াপাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউনিয়নের সম্পদ বিক্রি করার একতিয়ার আমাদের নেই। পাশে সাহারা এন্টারপ্রাইজ আমাদের জমি দখল নিতে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে যা আমরা বাধা দিচ্ছি।
এবিষয়ে সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই, আর নওয়াপাড়া জুট মিলস শ্রমিক ইউনিয়নের জমি বিক্রয় হবে কি জন্য? এটা মিথ্যা কথা।
সাহারা এন্টারপ্রাইজের নওয়াপাড়া অফিসের ম্যানেজার রেজওয়ান বলেন, আমি অফিসের বাইরে থাকাকালীন ইউনিয়নের লোক নাকি জমির দালাল যোগাযোগ করেছে তা সঠিক বলতে পারছিনা।