নারী কেলেংকারী সিএনজি চালক ফয়ছলের হয়রানিতে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ 

0
31

বিশেষ প্রতিবেদক, সিলেট থেকেঃ সিলেট সাংবাদিক পরিচয়ে নানান অপকর্ম করে যাচ্ছে ফয়ছল কাদির। কখনো নিজেকে পুলিশের সোর্স, কখনো র‍্যাবের সোর্স, আবার কখনো নিজেকে জাহের করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ।

অনুসন্ধানে জানা যায় – ২৩/০৯/২০১১ ইং তারিখে কানাইঘাট থানায় ফয়ছল কাদের এর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। মামলা নং ৪১০/২০১১. মামলার বাদী খাদিজা বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন -০৬/০৯/২০১১ ইং তারিখে বিকাল ০৪ ঘটিকায় সিলেট জেলার কানাইঘাট গাছবাড়ী রাস্তার মাছুখাল বাজারের ব্রীজের নিকটে, তাহার খালা শিফা বেগমের বাড়ী সরদারমাটি যাওয়ার জন্য আসিলে, ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত হওয়ায়, ফয়ছল কাদের এর সিএনজি গাড়ীতে উঠিয়া খাদিজা আক্তারের খালার বাড়ী যাওয়ার কথা বললে ফয়ছল কাদের রাজী হয়, এবং সহজ সরল মেয়ে খাদিজা বেগমের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাহার খালার বাড়ী না গিয়ে সিলেট শহরের তালতলাস্থ হোটেল সুফিয়ার ১৩৩ নং কক্ষে নিয়া বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও প্রলোভন দেখাইয়া ঐদিন রাত ০৯ ঘটিকা হইতে সারারাত একাধিকবার খাদিজা বেগমকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে।

পরবর্তীতে ধর্ষনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন লোকের ইমু হোয়াটসঅ্যাপে মেসেঞ্জারে ভাইরাল করে। পরবর্তীতে খাদিজা বেগমের দায়ের করা মামলায় ২৪/০৯/২০১১ ইং তারিখে ফয়ছল কাদের গ্রেফতার হয়, দীর্ঘ নয় মাস কারাভোগ করার পর ১০/০৬/২০১২ ইং তারিখে জামিন লাভ করে, বর্তমানে ধর্ষণের মামলাটি বিচারাধীন।

ফয়ছল কাদির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সিলেটের সাংবাদিক সমাজকে কুলসিত করে যাচ্ছে, তার পেশা হচ্ছে সে একজন সিএনজি চালক, সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা লুটে নিচ্ছে, তার কুঠির জোর কোথায়?

গত ১১/০৭/২০২১ ইং তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য মোঃ নুরুল আফসার ভুইয়া সার্জেন্ট, ট্রাফিক বিভাগ মেট্রোপলিটন পুলিশ -ফয়ছল কাদের এর বিরুদ্ধে শাহপরান রহঃ থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর -২৫(২)/২৯(১১)/৩১(২) ধারা মামলা দায়ের করেন,মামলা নং(০৫-২০২১) মামলার বাদী আফসার ভুইয়া এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি গত ০৯/০৭/২০২১ ইং তারিখে দুপুর ০২.৩০ ঘটিকা হইতে সুরমা গেইট এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স সহ দিবাকালীন চেকপোস্ট -৬১ ডিউটতে নিয়োজিত ছিলেন,করোনাকালীন সময় দায়িত্ব পালনে সুরমা গেইট বাইপাস মোড় এলাকায় গাড়ী তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করেন, বিকাল ০৬.২৫ ঘটিকার সময় মোটরসাইকেল চালক ফয়ছল কাদের হেলমেট বিহীন ৩ জন আরোহী নিয়ে আসিলে, দায়িত্বরত পুলিশ
রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল থামান,এবং ফয়ছল কাদের এর নিকট লাইসেন্স, গাড়ীর কাগজ পত্র চাইলে,৩ জন আরোহী ও হেলমেট বিহীন গাড়ী চালানোর কারন জানতে চাইলে ফয়ছল কাদির নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।
এবং অসদাচরণ করেন মামলার বাদী আফসার ভুইয়ার সাথে, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন সাংবাদিক মহল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে।

পরবর্তীতে তাকে সিলেট ০৯ র‍্যাপিড একশন গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন কারাভোগ করার পর জামিনে বের হয়ে এসে ফয়ছল কাদের থেমে নেই, একটি কুচক্রী মহলের সাথে রয়েছে তার হটলাইন সুসম্পর্ক। উদ্দেশ্য প্রণোদিত যে কারো বিরুদ্ধে রেজিষ্টেশন বিহীন অনলাইন পোর্টাল, ফেসবুকে, সংবাদের নামে অপপ্রচার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বড় অংকের টাকা।

ফয়ছল কাদির তার ফেসবুক আইডির টাইমলাইনে সব সময় মানুষকে আক্রমণ করে পোস্ট করে, এবং তারসাথে রয়েছে নারীদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সিলেটের সংবাদকর্মী সিলেট বিভাগীয় রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হানিফকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভু‚য়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজে সম্মান ক্ষুন্ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি কু-চক্রী মহল।

সাংবাদিক হানিফকে নিয়ে অপপ্রচার, আর সেই অপপ্রচারের মুল কেলেঙ্কারির হোতা হচ্ছে ফয়ছল কাদের, তার এক সহযোগীর সাথে কথা বললে, ফয়ছল কাদের এর ভয়েস রেকড, ও তারসাথে একটি কুচক্রী মহল জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ভূয়া তথ্য দিয়ে সাংবাদিক হানিফের সম্মান ক্ষুন্ন করতে সচেষ্ট ঐ চক্রটির একজনের একটি অডিও কল রেকর্ড উদ্ধার করা হয়েছে । ঐ অডিও কলের রেকর্ড থেকে জানা গেছে, ফয়সল কাদের নামীয় ব্যক্তি মুক্তির একাত্তর ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি নিসফা আক্তার জেনিকে ফোন ও হোয়াটসআপ মেসেঞ্জারে সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করতে বিভিন্ন ভাবে লোভ ও প্রলোভন দেখান ও সংবাদ প্রচারের বিনিময়ে বড় অংকের আর্থিক সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দেন।

মহিলা সংবাদ কর্মী নিসফা আক্তার জেনি ফোনকল দাতাকে সংবাদ প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য ও নথি চাইলে ফোনকল দাতা ফয়সল কাদির ও সহযোগীরা মিলে মিথ্যা ও প্রতারণা মূলক বিভিন্ন কৌশল প্রদান করেন। লোভ প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সাজানো নাটক দ্বারা সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে ব্যর্থ হয় ফয়সল কাদের নেতৃত্বাধীন কু-চক্রী মহলটি।

এ বিষয়ে মুক্তির একাত্তর ডটকম নিউজ পোর্টালের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি নিসফা আক্তার জেনির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, টাকার জন্য কারো সম্মান নষ্ট করাকে সাংবাদিকতা বলে না। তিনি আরো জানান, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিহিংসা মূলক সংবাদ প্রচার করে হয়রানি করা ও সম্মান নষ্ট করা হলুদ সাংবাদিকতা ও চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।

ফেক ফেসবুক আইডি Hadi Al Anas -Dx khan সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছে ফয়ছল কাদের ও তার সহযোগীরা। সাংবাদিক হানিফ কে প্রাণে হত্যার হুমকি সহ, কুকুরের ছবির সাথে সাংবাদিক হানিফের ছবি যুক্ত করে নানান মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানহানিকর ভাষা প্রয়োগ করে, এক পর্যায় সাংবাদিক হানিফ’কে ব্লাক মেইল করে বড় অংকের টাকা লুটে নেওয়ার পায়তারা করে।

সিলেটের সাংবাদিক মহল ক্ষিপ্ত ফয়ছল কাদের নামক সিএনজি চালকের উপর,
এদিকে.১৬/১১/২২ ইং. তারিখে সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায়, স্থানীয় এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধিরা সাংবাদিক হানিফের পক্ষে এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন, সাংবাদিক হানিফের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবী জানান।

সাংবাদিক হানিফ নিজের আত্মসম্মান রক্ষার্থে আইনের দারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না, গত.০৫/১২/২২. ইং তারিখে সিলেট ০৯ র‍্যাপিড একশন র‍্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন, অথচ গুজব ছড়ানো সন্ত্রাস বাহিনী কুচক্রীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার একশন নিচ্ছেনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফয়ছল কাদের কী পুলিশের সোর্স বলে, নাকি র‍্যাবের সোর্স বলে নিরব হয়ে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? Hadi al Anas -DX Khan
থেকে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত মিথ্যা অপপ্রচার গুজব প্রচার করে যাচ্ছে চক্রটি, সামাজিক ভাবে মানুষ অপমানিত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে অনেকে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে এমন মানহানিকর অপপ্রচার বন্ধ না করলে সাইবার অপরাধ দিনদিন বেড়েই চলবে।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এস এম ওয়াহিদুল ইসলাম, ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী এবং সচেতন সাংবাদিক মহলের দাবী এই সিএনজি চালক নারী কেলেংকারী
ফয়ছল কাদের কে আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
যাতে তার কঠিন শাস্তি দেখে অন্য কেউ এমন অপপ্রচার করার সাহস না পায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here