এম এ কাদেরঃ বি-বাড়ীয়া জেলা নাসিরনগর উপজেলার ৯নং চাপরতলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড তারাউলা গ্রামের মোঃ মফু মিয়ার ছেলে আজজিুল হকের নিকট মোছাঃ স্বাধীনা আক্তার (২৬)এর বিগত আনুমানিক পাঁচ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ।
গত ২০ই সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার সকাল আনুমানিক ৮ ঘটিকায় স্বাধীনা আক্তারের হিতরে সংবাদ প্রকাশ প্রায় । এই নিয়ে এলাকা জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ।
স্থানীয় সূত্রে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, আজিজুল হকের সংসারে দীর্ঘ দিন যাবৎ পারিবারিক কলহ লেগেই রয়েছিল । কিন্তুক তার স্ত্রী স্বাধীনা আক্তারকে কি হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্বহত্যা করেছে তা কোন লোকই সঠিক ভাবে বলতে পারেনা । তাছাড়া আজিজুল হকের পরিবারের সকল সদস্যরা পলাতক রয়েছে ।
স্বাধীনা আক্তারের পিতা মোঃ মকসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ ঐ এলাকার আব্দুর নুরের স্ত্রী পারুল বেগমের মাধ্যমে জানতে পারি যে, স্বাধীনা আক্তারের আজজিুল হকের ঘরের মেজে লাশ পরে আছে । আমার মেয়েকে তারা পরিকল্পিত ভাবে পরিবারের সকল সদস্যের যোগ সাজসে হত্যা করেছে । আমি তার সুষ্ট তদন্তের মাধম্যে সঠিক ও ন্যায় বিচার কামনা করেছি মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা ও স্হানীয় প্রশাসনসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে । বিশেষ করে আমার মেয়ের হত্যার উপযুক্ত বিচার পেতে বাংলার বিবেক সকল সাংবাদিকদের কাছে আমার অনুরোধ রইল যেন, আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা পাই ।
আর আজিজুল হকের পরিবার হতে তার বোন আসমা আক্তার জানান, আমার ভাই সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকায় তার চালিত সিএনজি নিয়ে গ্যাস পাম্পে চলে যায় তার গ্যাস সংগ্রহ করে ৮ ঘটিকায় বাসায় আসে । এসে দেখেনে তার ঘরের দরজা বন্ধন বার বার ডাকা ডাকি করার পরও দরজা না খুলায় পরে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন তার স্ত্রী ফাসিঁতে ঝুলছে । তার চিৎকারের সুর শোনে পরিবারে অন্যনান্য সদস্যরা এসে স্বাধীনা বেছে আছে মনে করে ফাসিঁ থেকে নামায় । পরে তারা বুজতে পারে স্বাধীনা আর নেই । তারপর পরিবারের সকল সদস্য ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ।
নাসিরনগর থানার ওসি তদন্ত আ স ম আতিকুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বাধীনা আক্তারের লাশ সুরত হাল করে থানায় নিয়ে আসে পরে বি-বাড়ীয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
আর মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে, তিনি বলেন নিহতের গায়ে কোন রকম আঘাতের ছিন্ন্য পাওয়া না যাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে হয়তো শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে এমনটাই ধারনা করা যাচ্ছে । পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারন নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না । আর এদিকে নিহতের পিতা মকসুদ মিয়া তার মেয়ের মৃত্যুর সঠিক কারন নিশ্চিত করার জন্য আইনের ধারস্ত হয়েছেন ।