মোঃ আব্দুল হান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ তীব্র গরম।অপরদিকে পবিত্র রমজান ।পবিত্র এ মাসেও ব্রাহ্মণ্যবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজারের মত নলকূপে পানি উঠছে না বলে জানায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে না।তাছাড়াও এলাকার কৃষকরা অপরিকল্পিতভাবে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উঠিয়ে সেচকাজ চালাচ্ছে।ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া এলাকার এ সমস্ত গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে পানি উঠছে না বলে জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।কিন্তু বেসরকারী হিসেবে এর সংখ্যা আরো অনেক বেশী।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসেব মতে উপজেলায় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টিউবওয়েল রয়েছে।তাদের দাবী এর মাঝে প্রায় ২০ হাজার টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা।
তারা আরো জানিয়েছে, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯৪০ টি গভীর ও ১ হাজার ৬০৫ টি অগভীর নলকূপ রয়েছে।তাছাড়া ও ২০২০ /২ দুই অর্থবছরে ৬৫৬ টি সাবমারসিবলযুক্ত নলকূপ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আরো জানায়,পানির স্তর ২৪ থেকে ২৫ ফুট নীচে থাকলে হাতচাপা নলকূপ দিয়ে পানি উঠানো সম্ভব হত।পানির ব্যবহার বেশী হওয়ায় পানির স্তর ৩০ থেকে ৩৮ ফুট নীচে নেমে যাওয়ার ফলে কোন হাতচাপা নলকূপে পানি উঠছে না।
সাধারণত মৌসুমগত কারনে আমাদের এলাকায় পৌষ,মাঘ ফাল্পুন ও চৈত্র মাসে সেচ কাজের জন্য অগভীর নলকূপের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যায়।এ কারনে পানির সংকট দেখা দেয়।বৃষ্টি হলেই সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান,নাসিরনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রূপক মিয়া।