মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসির নগর থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরে পূর্ব শত্রুতা ও ৩৪ বৎসর আগে বিক্রি করা জমি জোরপূর্বক দখল করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খালের পশ্চিম পাড়ায় ভলাকুট গ্রামে গত ১২ ও ১৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ ঘটিকার ও পরবর্তীতে বেলা ১ ঘটিকার সময় দুই দফা সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট , নগদ টাকা ও স্বর্ণাংলকার ছিনতাই সহ ৪০টি গাছ কর্তন করে জোর পূর্বক জায়গা দখলের ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা ওই সময় দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে বাদীর বাড়ী ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এ সময় হামলাকারীদের লোকজনের দ্বারা নগদ টাকা সহ আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করে। এসময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকজন নারী পুরুষকে পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রায় ৩৪ বৎসর পূর্বে সাফ কবলা দলিল মূলে বিক্রি করা ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের মালিকানা জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়। ওই ঘটনায় মোঃ রহিজ মিয়ার ছেলে জাকির আলম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিবেশী মাহফুজ মিয়া (৫০). সামছু মিয়া (৫০), ফজলু মিয়া (৪৮), বাবুল মিয়া (৩২), রিপন মিয়া (৪৮), শাফি মিয়া (২৩), মোশাহিদ মিয়া (২১), আওয়াল মিয়া (৪৯), রিয়াজুল মিয়া (১৯). জুলহাস মিয়া (৩৫), মিষ্টার মিয়া (৩২) ফয়সাল মিয়া (২১) এই ১২ জনকে আসামী করে সি,আর ৫৩/২২ চাঁদা বাজীর মামলা দায়ের করে। অপরদিকে রহিজ মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামী করে সি,আর ১৮/২২ দ্রুত বিচার আইনে এবং একই ব্যক্তি বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে পি-১৮৬/২২ পরপর তিনটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাগুলোকে আমলে নিয়ে সি, আর ৫৩/২২, সি,আর ১৮/২২ মামলা দুইটিকে অধিকতর তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া গোয়েন্দা শাখা/সিআইডিকে নির্দেশ দেন। অপরদিকে পি-১৭৬/২২ মামলাটিকে আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত ৭ জনের নামে সমন ইস্যু করে। মামলার বাদী রহিজ মিয়া ও জাকির আলম জানায়, মামলা করার পরও তারা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। প্রতিপক্ষের লোকজনের হুমকিতে তাদের পরিবার পরিজন আতংকে রয়েছে। যেকোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রতিপক্ষের মাহফুজ মিয়া ও আউয়াল মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী পুলিশ অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়ে একাধিকার তার মুঠো ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভলাকুট ইউপি চেয়ারমান মোঃ রুবেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য কয়েকবার পতিপক্ষের লোকজনকে কাগজপত্র নিয়ে আমার নিকট আসার কথা বললে, রহিজ মিয়ার পক্ষের লোকজন আমার ডাকে আসলেও প্রতিপক্ষরা আমার ডাকে আসেনি। আমার ডাকে না এসে জোরে রহিজ মিয়ার লোকজনের জায়গা থেকে গাছ কর্তন করে উক্ত জায়গায় রাতের অন্ধকারে ঘর তোলে জায়গা দখল করে নিয়ে আবার তাদের নামে মিথ্যা দাঁজাবাদী ও দ্রুত বিচার আইনে দুইটি মামলা করে।