মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসির নগর থেকেঃ ব্রাহ্মণ্যবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণশাসন সুন্নি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদের বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি ও নতুন মসজিদ নির্মানে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে উক্ত মসজিদের সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়ার বিভিন্ন জায়গা দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ১৫ মার্চ ২০২২ রোজ মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকার সময় মসজিদ প্রাঙ্গনে একাংশের মুসল্লি ও প্রতিবেশী ছেলে মেয়েদের নিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।এ সময় প্রতিবাদকারীদের মুখে অভিযোগকারী বাবুল মিয়া ও মোজাম্মিলের চামড়া তুলে নিবো আমরা,বলে মিছিল করতে শোনা যায়।
অভিযোগকারী বাবুল মিয়ার বক্তব্যঃ—মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক সভাপতি অভিযোগকারী মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, ইমাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদের বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি ও নতুন মসজিদ নির্মানে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,প্রেসক্লাব,নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা,অফিসার ইনচার্জ নাসিরনগর থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।তিনি বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা সহ অভিযোগ প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আমি আশা করছি।
অভিযুক্ত ইমামের বক্তব্যঃ–প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মসজিদের ইমাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদ বলেন,মসজিদটি তার আপন চাচাতো বোন ও নিজের জায়গা নির্মিত হচ্ছে।তিনি বলেন,মসজিদ নির্মানের পূর্বে আমি এলাকার মুসল্লিদের ডেকে মিটিং করি।মুসল্লিরা আমার কথায় রাজি হলে আমি নিজেই মসজিদ নির্মানের কাজ শুরু করি।ইমাম শিব্বির বলেন শুরু থেকেই আমি মসজিদের ইমাম ও পরিচালনার দায়িত্বে আছি।তিনি বলেন কেউ আমাকে ইমাম নির্ধারন করেন নাই।শুরু করছি তাই এখনো এই ভাবেই আছি।তাছাড়াও এ সময় ইমাম পূর্বের মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার কারন,মসজিদের কমিটি গঠন ও মসজিদের হিসাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। বিগত ৮ বছরে উক্ত মসজিদের কয়টি কমিটি হয়েছে এবং কোন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কে ছিলেন জানতে চান সাংবাদিকরা। সাংবাদিকরা মসজিদের বর্তমানে কোন কমিটি আছে কি,না,জানতে চাইলে ইমাম বলেন রেজুলেশন আছে,তাছাড়াও মসজিদের মটর থেকে নিজের ব্যাক্তিগত বাসায় পানি নিয়ে ব্যবহারের বিষয়েও কথা বলেন ইমাম শিব্বির আহাম্মেদ।বাকি সব ভিডিওতে তার নিজ মুখে।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ–প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে সরেজমিন এলাকায় গিয়ে লোকজনের সাথে কথা বলে, ইমাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদের বিরোদ্ধে উক্ত মসজিদের সাবেক সভাপতি মোঃ বাবুল মিয়ার দায়ের করা সকল অভিযোগের কপি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ও মসজিদের কয়েকজন মুসল্লির সাথে কথা বলে, তাদের ভিডিও ধারণ করে এবং অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা শিব্বির আহাম্মেদের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা বলে তার বক্তব্য সহকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়ে।