স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রাহ্মণ্যবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল শ্রীঘর দুই গ্রামের সংঘর্ষে হার্টএ্যটাকে মারা যাওয়া নায়েবুল্লার মিথ্যা খুনের মামলার বাদী তার আপন ভাই সাজু মিয়া।তার ছেলে বোরহান উদ্দিন তার আপন চাচী( নায়েবুল্লার আপন ভাতিজা) নায়েবুল্লার স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী খোশনাহার বেগম কে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আছে ভাগিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছে।আজও তারা বাড়ি ফিরেনি পলাতক রয়েছে।জানা গেছে নায়েবুল্লা প্রবাসে যাবার পর পরই তার স্ত্রীর সাথে ভাতিজা বোরহান উদ্দিনের পরকিয়া ও অনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।ওই ঘটনার কথা শোনে নায়েবুল্লা প্রবাসেই হার্টএ্যটাক করে।পরে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে আসে।বাড়িতে আসার পর তার স্ত্রী খোশনাহার ও ভাতিজা বোরহানকে একদিন অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে ফেলে।এই নিয়ে চাচা ভাতিজার মাঝে সংর্ঘষ ও সামাজিক বিচার হয়। বিচারের পর এক সময় স্ত্রী ও ভাতিজাকে পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে নায়েবুল্লা।ওই সময়ে আহত স্ত্রী খোশনাহার ও ভাতিজা বোরহান নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসার পর ভাতিজা বোরহান ও তার আপন চাচী নায়েবুল্লার স্ত্রী খোশনাহারকে ভাগিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।আজো তারা নিরোদ্দেশে রয়েছে।নায়েবুল্লা পরে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে।ঘটনার কয়েকদিন পূর্বেও নায়েবুল্লা হার্টএ্যাটাক করে একটি হাসপাতালের আইসিওতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে আসেন।ডাক্তার তাকে জোরে কথা বলা এবং মোবাইল ফোন পর্যন্ত ব্যবহার করা নিষেধ করে দেয় বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে,ঘটনার দিন সংঘর্ষ চলাকালে নায়েবুল্লা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২ কিঃমিঃ দুরে সংর্ঘষের স্থানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে যাবার জন্য গ্রামের মসজিদের মাইকে হাওমাউ,চেচামেচি ও চিৎকার করে ডাকাডাকির পর হঠাৎ হার্টএ্যাটাক করে মসজিদের ভিতর পরে গিয়ে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।পরে সমাজের কয়েকজন লোক মিলে তারা নায়েবুল্লা খুন হয়েছে মর্মে আওয়াজ তুলে এ ঘটনাকে খুনে পরিণত করে আশুরাইর গ্রামের নিরপরাধ ৪৯ জন অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা রুজু করে।ওই ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।পুলিশের প্রতি সচেতন মহলের দাবী দয়া করে এ ঘটনা গুলোর সত্য মিথ্যা খুঁজে বের করার পাশাপাশি আপাদত মিথ্যা খুনের মামলার অজুহাতে আর কোন নিরপরাধ লোক বা আসামীর নামে কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানী না করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছে এবং খুন বা হত্যা প্রমানিত হওয়ার পর আসামী গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছে