নিহারেন্দু চক্রবর্তী, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উপজেলা কৃষকলীগের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে কৃষকলীগের উপজেলা কার্যালয়ে সকল নেতা কর্মী সমেবত হয় ও উপজেলা কার্যালয় থেকে একটি শোক র্যালী বের হয়ে নাসিরনগর উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবনন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন কৃষকলীগের উপজেলা নেতৃবৃন্দ।পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মোঃ অলি মিয়া। উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব এস এম নূরে আলম এর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক
আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, ভার্চুয়াল বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা কন্যা রোমা আক্তার,
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আব্দুল আহাদ,জেলা কৃষকলীগের সদস্য এম এ কাশেম, গোকর্ণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মিজানুল হক, চাপড়তলা কৃষকলীগের প্রস্তাবিত সভাপতি মোঃ দিয়ারিশ মিয়া প্রমুখ।
অপরদিকে নাসিরনগর উপজেলা আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ৭ নং ফান্দাউক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ফারুকুজ্জামান ফারুকের নেতৃত্বে আ’লীগের একাংশ তার নিজ কার্যালয়ের সম্মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর মাধ্যমে শোকাবহ ১৫ আগষ্ট পালন করেছেন।
ফান্দাউক ইউপির চেয়ারম্যান শত শত নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে শোকদিবসের আলোচনা সভায় বলেন, এই দিনে কিছু বিপদগামী ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও এমনকি ৮ বছরের শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামালসহ আরো অনেকেই। শুধু প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।”
তিনি আরো বলেন ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিল।
স্বাধীনতার ৫১ বছর পর আরো কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা যারা যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধ করলেও ৭৫ এর ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার খবর শোনা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে মুছে ফেলে । তাই শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ সময় ফান্দাউক ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতা – কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে দোয়া মাহফিল শেষে সকলের মাঝে খিচুড়ি বিতরন করা হয়।
এছাড়াও নাসিরনগর উপজেলা প্রসাশন, ১৩ ইউনিয়ন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।