নাসির নগরে মিথ্যা মামলায় হুজুরসহ ৬ জনকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে জাহানারার বিরুদ্ধে

0
443
এম এ কাদেরঃ  ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ভোলাউক গ্রামের মোঃ নুর উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ জাহানারা বেগম গত ৫ই এপ্রিল তারিখ উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সি, আর-  মামলা নং ১৭৯/২৩ ইং। 
উক্ত মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আসামীগনের সুনির্দিষ্ট পেশা না থাকায় আসামীগন ঘটনাস্থল সহ আশেপাশের এলাকায় চুরি করিয়া জীবিকা নির্বাহ করে। ৬নং আসামী সকল আসামীদের সকল অপকর্মের গড ফাদার হিসাবে কাজ করে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাইয়ের মামলা মোকদ্দমা হইলে তাদেরকে তদবির করে জামিনে মুক্তি করে আনে। ৬নং আসামীর সরাসরি সকল ধরনের সহযোগীতার কারণে আসামীরা দিন দিন বেপরোয়া হইয়া সাধারন মানুষের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন এবং গ্রাম সহ আশেপাশের এলাকায় ও বিভিন্ন সময় রাতের বেলায় রাস্তায় গাড়ী আটকাইয়া চুরি ছিনতাই ও ডাকাতি করিয়া থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানা সহ আশেপাশের বিভিন্ন থানায় চুরি ছিনতাই, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতির বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলমান আছে।
দায়েরকৃত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের হাতে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন আদালত। অন্য দিকে মামলাটি দায়ের করার পর থেকে এলাকা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সবচেয়ে আলোচনায় উঠে আসেন, ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের মোবাল্লিক ও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক এবং বর্তমানে কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম পাঠের শিক্ষক মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুর। এই শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দারুল কেরাত মাজিদিয়া ফুলতলী ট্রাষ্ট এর খামিছ জামাতের পরিক্ষকও বটে। এমন একজন ব্যক্তির উপর এমন মামলা দায়ের করায় নাসির নগর উপজেলার সচেতন মহলের ব্যক্তিদের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা। কেমন করে হুজুরের উপর এমন মামলা দায়ের করতে পারল মোছাঃ জাহানারা বেগম। মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুরের শুধু এই শিক্ষকতাই করেন না এসাথে তিনি স্হানীয় একটি মসজিদের জুম্মা নামাজ পড়ানোর দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন।
মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুরের উপর যদি এমন অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তাহলে সাধারণ মানুষের উপর ঐ মহিলা কি না অপবাদ দিতে পারবেন তা বুজার বাকী থাকেনা।
এই বিষয়ে বাদীনির মোবাইল ফোন যোগাযোগ করলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদক সরজমিনে পরিচয় গোপনে মামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার বেশ কিছু লোকে সাথে কথা বলেন। তারা জানান, ঐ মহিলা জাহানারা বেগম খুব ভয়ংকর ব্যক্তি। তার নিজের স্বাভাবিকর্থের জন্য পারে না এমন কোন কাজ নেই যে, তার দ্বারা অসম্ভব। ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি মুখ খুলতে সাহসও করে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি জানান, জাহানার বাপের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার কারনে সে ভবঘুরের মত লাগামহীন বেলেল্লাপনা। বিশেষ করে জাহানারার স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর থেকে সে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার স্বামীর ছোট ভাই হলেন, মাও ক্বারী জসিম উদ্দিন হুজুর। এবং তার ঘরে ও জসিম হুজুরের ঘর পাশাপাশি। তারপর ঐ মহিলার কাছ থেকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মালামাল লুটপাট এর অভিযোগ দায়ের করতে দ্বিধা বোধ করে নাই। তাহলে যদি ঐ মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি মুখ খুলেন কি পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তা বলা বাহুল্য।
এলাকার সচেতন মহলের জোর প্রতিবাদ ও দাবি জানিয়েছেন, যাতে করে প্রশাসনের তদন্তকারী কর্মকর্তারা এর সঠিক বিচারের ব্যবস্হা করেন। এবং এমন ধরনে কার্যকলাপ ঘটার হাত থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্হা করেন।
এভাবে আর কতদিন চলবে জাহিলিয়াতের কর্ম কান্ড?  আর কত মানুষের মান সম্মান ধুলো মিশিয়ে শান্ত হবেন ঐ জাহানারার দলেরা?
এই ঘটনায় আদি প্রথাকেও হার মানিয়েছেন বলে দাবি করছেন বর্তমান সমাজের বিবেকবান অগণিত ব্যক্তিরা। তাছাড়া শান্তিপ্রিয় জনতা ও আগাম প্রজন্মরা তাকিয়ে রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং আদালতের বিচারকের দিকে। এর দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্হা গ্রহন করবেন বলে জোর দাবী জানিয়েছেন নাসির নগর উপজেলাবাসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here