মোঃ আব্দুল হান্নান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাঁটি অঞ্চল নামে খ্যাত চাতলপাড় ইউনিয়ন।চাতলপাড়ে রয়েছে বড়বাজার ও চকবাজার নামে বহু পুরানো দুটি বাজার। চাতলপাড়বাসী আবারো পড়েছে মেঘনার ভাঙ্গনের কবলে।যদিও পুর্বে দুইবার স্থানীয় সংসদ সদস্য বি,এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের জিও ব্যাগ ফেলে সমস্যা কিছুটা মোকাবেলা করা হয়েছিল।কিন্তু এ বছর আবারো নতুন করে ভাঙ্গন ধরেছে চাতলপাড় চকবাজার,বড় বাজার ও বিলের পাড় সহ প্বার্শবর্তী এলাকায়।নদী ভাঙ্গনের কবলে পরেছে অনেক ব্যবসায়ী পরিবারও।ভাগ্য বিড়ম্বনার শিকার ওই সকল ব্যবসায়ী পরিবারগুলোর দোকান, ঘর, বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার ভয়ে আতংকগ্রস্থ হয়ে দিনাতিপাত করছে তারা।
সরেজমিন নদী ভাঙ্গন এলাকা গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারনে আর নদীতে প্রবাহীত তীব্র স্রোতের কারনে নদী তীরের পানির গভীরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।ইতিমধ্যেই পবিত্র মসজিদ,বাড়ি, ঘর ও কিছু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অনেক পরিবারই ভীষণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।আর ক্ষতিগ্রস্থরা অনেকেই নিঃস্ব হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অতীতেও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অনেক বাড়ি ঘর-দোকান পাট।এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও এখনো তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
চাতলপাড়ের নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে জানতে চাইলে বড় বাজারের বিশিষ্টি ঔষধ ব্যবসায়ী শুভেচ্ছা ফার্মেসীর মালিক সুজিত কুমার রায় এ প্রতিনিধিকে জানান,নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিদিন পার্শ্ববরাতী বাড়িঘর, দোকানপাঠ ভাঙ্গছেই আর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কান্না কিছুতেই থামছে না।
চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমার পরিষদে এ বিষয়ে কোন বরাদ্ব নেই।স্থানীয় সংসদ সদস্য,ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,উপজেলা প্রকৌশলী এসে পরিদর্শন করে গেছে।তবে দিন দিন ভাঙ্গনের অবস্থা খুবই খারাপ বলে তিনি জানিয়েছেন।
চাতলপাড়ের নদীভাঙ্গন রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মেহেদি হাসান শাওন বলেন,আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা কি পদক্ষেপ নিয়েছে আমি আবারো যোগাযোগ করে দেখবো।