থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন আলীকে খুঁজে না পেয়ে ২৯ নভেম্বর শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আবুল কাশেম। তিনি হোসেনের বড় ভাই। কিন্তু দীর্ঘদিনেও খোঁজ না পেয়ে ১০ ডিসেম্বর তিনি র্যাব-১৪–এর জামালপুর কার্যালয়েও লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ পেয়ে র্যাব-১৪ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল সোমবার প্রথমে সুমেল রানা ও পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মো. সুজনকে আটক করে। পরে দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার নওকুচি গ্রামে মাটি খুঁড়ে হোসেন আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ শনাক্ত করেন হোসেন আলীর বড় ভাই আবুল কাশেম।
র্যাব-১৪ জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সুমেল ও সুজন র্যাবকে বলেছেন, ২৬ নভেম্বর বিকেলে তাঁরা হোসেন আলীর অটোরিকশাটি ভাড়া করে নিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার নওকুচি গ্রামে সুমেলের বাড়িতে আসেন। এরপর হোসেন আলীর কাছ থেকে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেন ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তাঁকে (হোসেন আলী) হত্যা করেন। পরে লাশ গারো পাহাড়ের নওকুচি এলাকায় নিয়ে মাটিচাপা দেন। সেই সঙ্গে অটোরিকশা থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে বিক্রি করেন ও অটোরিকশা গজনী এলাকায় ফেলে আসেন। যা পরে ঝিনাইগাতী থানা-পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।