সোহেল খান দূর্জয়, নেত্রকোনা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় নাম ছাড়া প্রতিষ্ঠান কর্মসংস্থানের নাম করে সহজ সরল মহিলাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আটপাড়া ব্রুজের বাজার মার্কেটের পিছনে আবুল খায়ের এর বাসায় জহির নামক ব্যক্তি। গাজীপুর চৌরাস্তা তার বাড়ি এছাড়াও দুওজ ইউনিয়ন নাজিরগঞ্জে তার শ্বশুর বাড়ি বলে পরিচয় দেয়। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আটপাড়া উপজেলার আটপাড়া কলেজের ডেমোক্র্যাটাস মোখলেছুর রহমান ও ইটাখলা চকপাড়ার আবুল কাশেম।
এদিকে ইটাখলা চকপাড়ার কিছু মহিলাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত তিন মাস যাবত চায়না টুপি কাজের জন্য ফরমের জন্য ৩০০ টাকা করে দেয়। প্রত্যেকেই একটা করে টুপি বানানোর সরঞ্জাম দেয়। তখন একটা টুপি করার পর আর কোন টুপি দেয়নি। এখন আবার বাজারের ব্যাগ বানানোর জন্য সেলাই মেশিন দিবে তার জন্য তাদের প্রথম অবস্থায় ৪০০০ টাকা করে দিতে হবে এবং বাকি টাকা কাজ করে দেওয়া যাবে বলে জানায় ।তবে তারা দুই তিন দিন হয় চার হাজার টাকার মধ্যে ১২ জন ১৫০০-৩০০০ টাকা দেয় বাকি টাকা মেশিন দেওয়ার সময় দিবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নাম জিজ্ঞেস করলে তারা তা বলতে পারেনি।
তাহলে কিভাবে তারা টাকা দিচ্ছে সেই প্রশ্নের জবাবে বলে ওই লোককে না চিনলেও মোখলেছুর রহমান কে চিনি ও সেই বলেছে তার কথার উপর বিশ্বাস করেই টাকা দিয়েছে।এদিকে আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দূওজ ইউনিয়নের এক ব্যক্তিকে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৮০ হাজার টাকা নেয় কিন্তু চাকরি দেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি পদে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই ভুক্তভোগী।
এদিকে নাম ছাড়া প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিক জহির কে না পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করলে কি অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবে বলে জানায়। আবুল কাশেমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমার এলাকার মা বোন বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবে।সেই সুবাধেই এবং মোখলেস মাস্টারকে দেখেই ঐ ব্যক্তি এলাকায় এসে কাজ করছে। আমি তো এতো কিছু বুঝিনা, যদি প্রতারণা করে বা করতে চায় মোখলেস মাস্টারকে ছাড়বো না। আমরা এর সঠিক উদ্দেশ্য টা জানতে চাই।গ্রামের অসহায় সহজ সরল মহিলাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার দাবি জানায় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে আটপাড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ জানান, সংবাদ পেয়ে ঐ সময় ওসি কে বলে দেওয়া হয়েছে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। তবে স্থানীয় মোখলেছুর রহমান নামে ব্যক্তিকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের ভাড়া নেওয়া অফিস বন্ধ করা হয়েছে। প্রতারণা হলে জহির নামে লোকে ধরে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।