স্টাফ রিপোর্টারঃ এক আদেশে আগামী ১৯ অক্টোবরের (মঙ্গলবার) পরিবর্তে ২০ অক্টোবর (বুধবার) ছুটি পুনর্নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং দ্য ডিফারেন্স মিনিস্ট্রি অ্যান্ড ডিভিশন্সের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সরকারি ছুটি পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুনের নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকারের অত্যাবশ্যক চাকরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি পুনর্নির্ধারণ করবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আগামী ২০ অক্টোবর বুধবার ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে। আল্লাহর প্রিয় হাবিব নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩ বছর বয়সে ১১ হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল তিনি ওফাত লাভ করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে গতকাল বাদ মাগরিব জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (আরবি: مَوْلِدُ النَبِيِّ মাওলিদু এন-নাবীয়ী, আরবি: مولد النبي মাওলিদ আন-নাবী, কখনো কখনো সহজভাবে বলা হয় مولد মাওলিদ, মেভলিদ, মেভলিট, মুলুদ আরো অসংখ্য উচ্চারণ; কখনো কখনো: ميلاد মিলাদ) হচ্ছে শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব। মুসলিমদের মাঝে এ দিনটি বেশ উৎসবের সাথে পালন হতে দেখা যায়। তবে উৎসব নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মাঝে অনেক বিতর্ক রয়েছে। হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল-এর বারো তারিখে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।[২] বাংলাদেশি মুসলমানরা এই দিনকে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কাছে এই দিন নবী দিবস নামে পরিচিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে মিলাদুন্নবীর প্রচলন শুরু হয়। রাসূল, আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন এর জন্মদিন, এসবের মূল প্রর্বতক ছিল খলীফা আল মুয়িজ্জু লি-দীনিল্লাহ।
এখানে উল্লেখ্য যে, মিশরের এইসব অনুষ্ঠানাদি তখনো মুসলিম বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েনি। পরবর্তীতে যিনি ঈদে মিলাদুন্নবীকে মুসলিমবিশ্বের অন্যতম উৎসব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি হলেন, ইরাক অঞ্চলের ইরবিল প্রদেশের আবু সাঈদ কুকবুরী । সে হিসেবে জানা যায়, ৭ম হিজরী থেকে আনুষ্ঠানিক মিলাদ উদ্যাপন শুরু হয়। মিলাদের উপর সর্বপ্রথম গ্রন্থ রচনা করে আবুল খাত্তাব ওমর ইবনে হাসান ইবনে দেহিয়া আল কালবী