পিয়ন থেকে ‘জহিরুল’ হঠাৎ যেভাবে কোটিপতি !

0
565
বহুরূপি এই সেই এস এম জহিরুল ইসলাম ওরফে ফেন্সি জহির

কে এই ‘জহিরুল’ তার আয়ের উৎস কি ?

স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদক ও সুদের কারবার করেই কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন নামধারী সাংবাদিক মো. জহিরুল ইসলাম এখন এস এম জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির আলম।

রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকায় মাদক, অবৈধ সুদের কারবার, বিএনপি’র অর্থ সংরক্ষণ ও সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করে এই জহিরুল হঠাৎই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছে। এক সময় যার নুন আনতে পান্তা ফুরাত তার এখন একাধিক বাড়ি, জমি, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। সব মিলে আজ প্রায় কোটি টাকার মালিক সে। আসলে তার আয়ের উৎস কী? এক সময় ছিলেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর পিয়ন। সেই চাকরি ছাড়ার পরপরই হঠাৎ এতো পরিবর্তনের কারণ কি?

একজন মহিলা কাউন্সিলরের সাবেক পিয়ন, কি এমন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে গেলেন যে হঠাৎ এতো টাকার মালিক বনে গেলেন? এই প্রশ্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। তবে তার কাছে যাঁরা ঋণ নিয়ে জমি-বাড়ি হারিয়েছেন, ঋণের ৭-৮ গুণ টাকা পরিশোধ করেও তার হাত থেকে নিস্তার পাননি সে-সকল ভুক্তভোগীরা। কিছু হলেই মিথ্যা মামলা আর ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখান তিনি। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী।

তবে, তার উত্থানের পেছনে মাদক, অবৈধ সুদের ব্যবসা, বিএনপি’র অর্থ সংরক্ষণ ও সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। তার বেড়ে ওঠা পল্লবীর উত্তর কালশী (সিরামিক বস্তিতে)। সেই বস্তিতে রয়েছে তার বিরুদ্ধে বাড়ি দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অসংখ্য অভিযোগ। একসময় তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, এলাকা সূত্রে আরোও জানা যায়, এই জহিরুল মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে তার বিশাল বাহিনী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ব্যবসায়ী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেন তিনি। সেই হুমকির কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরালও হয়।

রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর সিরামিক বস্তিতে বেড়ে ওঠা মো.জহিরুল ইসলাম বিএনপি সরকার ক্ষমতাসীন সময়ে মিরপুর পল্লবী থানা ছাত্রদলের সহ-সভাপতির আড়ালে করতেন মাদক ব্যবসা। প্রথমে ফেনসিডিল দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও একসময় বাদ যায়নি হেরোইন ও ইয়াবা। সে নিজেও ছিলেন মাদকাসক্ত।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাংবাদিকতার ছদ্মবেশ ধারণ করলেও লুকিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা ও নিজ দলীয় কর্মকাণ্ড। মিরপুরবাসী তাকে চিনে সাংবাদিকদের সোর্স ও চাঁদাবাজ হিসেবে। যদিও বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তাকে সবাই চিনতেন বিএনপির একজন মহিলা কাউন্সিলরের পিয়ন জহির হিসেবে।

এমনকি, রাজধানীর পল্লবী থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলা রয়েছে বলেও জানা যায়।

এ সকল বিষয়ে, এস এম জহিরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। জানা যায় এক বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here