মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান,ঠাকুরগাঁও থেকেঃ ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জ উপজেলাধীন থুমনিয়া গ্রামের অবৈধভাবে ব্রয়লার মুরগী ফার্ম (হ্যাচারী) তৈরী করে এলাকার কৃষক ও কৃষি ফসলাদির ক্ষতিগ্রস্থ্য করা সহ পরিবেশ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এলাকার প্রায় ২৫ একর জায়গা জমিতে কোন ফসলাদি হচ্ছেনা ও এলাকার মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগ-বালাই লেগেই আছে। উক্ত হ্যাচারীর মালিক ভবানীপুর গ্রামের মরহুম তফিজ উদ্দীনের পুত্র হাজী মো: তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ধরাকে সড়া জ্ঞান মনে করে ও কারো অভিযোগে কর্নপাত না করে উক্ত অবৈধ হ্যাচারী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে প্রাপ্ত অভিযোগ পাওয়া যায়। উক্ত থুমনিয়া শাল বনের কাছে আবাদীর ২৫ একর জায়গা-জমিতে থুমনিয়া ও ভবানীপুর গ্রামের প্রায় ৩০ জন কৃষক-চাষী তাদের ফসলাদী উৎপাদনে বছরের পর বছর ধরে ক্ষতি গ্রস্থ্য হয়ে আসছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসিগণ উক্ত হ্যাচারীর মালিককে বহুবার বলা সত্ত্বেও তিনি কোন কথার গুরুত্ব না দিয়ে তিরস্কার করছেন। উপরোক্ত হ্যাচারীর মালিক তার ছেলে মো: সোহেল ও হ্যাচারীর কর্মচারী রুবেলগণকে ব্রয়লার মুরগী উৎপাদনে কঠোর ভুমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে হ্যাচারীকে কেন্দ্র করে থুমনিয়া-ভবানীপুর ও ভুরভুষিকালী হ্যাচারীর গাড়ী চলাচলে রাস্তায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। এমনকি ২টি গ্রামের লোকজন উক্ত হ্যাচারীর সৃষ্ট দূষিত পরিবেশের কারণে ক্বফ-কাশি, ডাইরিয়া, শ্বাষ কষ্ট সহ স্বাস্থ্যহানিকর রোগ-বালাই ঘটেই চলেছে। এব্যাপারে গত ১৬ জুন তারিখে উক্ত মুরগীর হ্যাচারীর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক-চাষীরা সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন অভিযোগের কথা তুলেধরেন। সাক্ষাৎদানকারী কৃষকরা হলেন-ভবানীপুর গ্রামের মঙ্গলী, মো: সাইফুল ইসলাম, মো: কামরুজ্জামান, মো: নুরুল ইসলাম; থুমনিয়া গ্রামের চাষী কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: মোশারফ হোসেন, ধনদেব ও ভবানীপুর গ্রামের কৃষক কোষা বর্ম্মণ , মো: ফজলু ও নুরুল প্রমুখ। অভিযোগকারীরা উক্ত অবৈধ হ্যাচারীর কার্যক্রম বন্ধের জন্য আইনগত ভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।