পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় অন্তত ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম ভোগান্তিতে !

0
304

নিহারেন্দু চক্রবর্তী, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া কুকুরিয়া ব্রিজ সংস্কার হয়নি আট মাসেও ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্হা চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেখার কেউ নেই।

বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া কুকুরিয়া ব্রিজ সংস্কার হয়নি আট মাসেও ৩০টি গ্রামের যোগাযোগ অবস্থা চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেখার কেউ নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার গত বর্ষা মৌসুমে তিন দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় সড়কগুলোর। পানির প্রবল তোড়ে যে কয়টি সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয় তার মধ্যে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কুকুরিয়া ব্রিজটি ভেঙ্গে ধ্বসে পড়ে যায়। কিন্তু গত আট মাসেও কুকুরিয়া ব্রিজটি পুনঃ নির্মাণ না হওয়ায় উপজেলার অন্তত ৩০ টি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম ব্যহত হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।

ভাঙা সড়ক দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। গত আট মাসেও মেরামত করা হয়নি ভেঙে যাওয়া সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে হরিপুর – পূর্বভাগ-চৈয়ারকুড়ি ও গোকর্ণ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ।

গোকর্ণ গ্রামের অপু দেব বলেন গত ৮ মাস ধরে এই সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় মানুষকে ফসলি জমি দিয়ে চলাচল করতে হয়। আর বৃষ্টি হলেই সেখানে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়’।

এ সড়কে চলাচলকারী রঞ্জু মিয়া বলেন ‘ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। প্রতিদিন এ ভাঙা সড়ক এবং ব্রিজের পাশ দিয়ে চরম কষ্টে চলাচলে সময় বেশি লাগে। এ ছাড়া সেতু ভাঙা থাকায় নাসিরনগর সদর হয়ে ৩টি যানবাহন বদলে জেলা শহর বা রাজধানী ঢাকায় যেতে হয়। এতে ভাড়াও বেশি লাগছে।’

পরিবহন চালক মৌলুদ মিয়া জানান, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তিতে তেমনি এখানে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়ক ও সেতুটি দ্রুত সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান তিনি।

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক আর কুকুরিয়া সেতুটি মেরামতের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুদান এলেই সেখানে সড়ক ও সেতুটির মেরামত কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here