তোমার দাক্ষিণ্য দিও, অবকাশে ভালোবাসানি শিলতা নুয়ে থাকা পূর্ণিমার উজান দুয়ারে
মুহূর্ত বিরাম দিও,ভেসে আসা কোনো শুদ্ধ স্বর শোনার প্রতীক্ষা দিও, ধীরে-সুস্থে প্রবাহের অবকাশ দিও গৌণ কিন্তু মুগ্ধ নদীটিৱে—
প্রেম ভালোবাসা কেমন যেন না হ’য়ে যায়।
প্রেম ভালোবাসা কেমন হ’য়ে যায়
ভঙ্গুর, দুর্বল মানুষেরা দিনের সঞ্চয়
সন্ধ্যায় পুড়িয়ে দেয় গ্লাসের আগুনে
সুখ খোঁজে, প্রেম খোঁজে অপেক্ষার তীরে,
আকাশ যদিবা নামে সমুদ্র বিলাসে
তবু যেন ভালোবাসা পাঁচে পাঁচ সম্পূর্ণ দেখে না ক্লিষ্ট কোনো, শীর্ণ কোনো অতীত বেদনা
শুষে নেয়, কেড়ে নেয় বিহ্বলতা ও বিস্ময়
ভালোবাসা বয়সে, বাস্তবে যেন ধু ধু মলিন, অসহায় …
তোমার কাঠিন্য দিও তাও তুমি ভাগ পাবে অর্জনের, গৌরবের তোমার বিপক্ষ দিও তাও তুমি পক্ষ পাবে সকল শ্রমের তোমার অবহেলায় পাবে তুমি আমার পিপাসা
ভালোবাসা থাকে যেন মূলে, শস্য ও সৌরভে-
অবকাশে আর নয়, কর্মময় সফল জীবনে।
প্রেরণার পাঠ শেষ হ’লে কোনো খণ্ড অভিমানে প্রেম ভালোবাসা কেমন হ’য়ে যায়।