বাংলাদেশ কখনও কী কলংক মুক্ত হবে না ? – ফরজুন আক্তার মনি

0
131

এফআইআর টিভি অনলাইন ডেস্কঃ দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক, জাতীয় দৈনিক গণমুক্তির নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ও ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফরজুন আক্তার মনি আজ নিজ ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট করে বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণার জন্মের বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন।

পাটকদের নিকট হুবহু তুলে ধরা হলো –

ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক) আমি আজও কোনো রাজনৈতিক দলে লিখিত বা অলিখিত নয়।বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সব সেক্টর কে নিয়মমাফিক যথারীতি সম্মান শ্রদ্ধা করে যাচ্ছি।ইতিহাস মতে জেনেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক।বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বুক ভরা শ্রদ্ধা জানাই।গত ২০১৯ সালে নবীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি আহমেদ আজাদ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে অসম্মান ও কটুক্তি করিলে,আমি বাংলাদেশের সন্তান হিসাবে প্রতিবাদ করেছিলাম।সেই অপরাধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মাকে কটুক্তি করে আমাকে অসম্মান করে প্রচার-প্রচারণা করা সহ আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করিলে,আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মানহানীর মামলা দায়ের করি,যাহার সিআর মামলা নং -৪৪২/১৯। পরের দিন আমাকে মেরে ফেলার জন্য মহলটি বেপরোয়া হয়ে উঠে।আমি নবীগঞ্জ থানায় বিষয়টি অবগত করিতে আসিলে থানায় বসিয়ে অবৈধ শক্তি ব্যবহার করে আওয়ামিলীগ এর বিভিন্ন নেতাদের অনুরোধে আমাকে কাউন্টার মামলা ষড়যন্ত্র করে সাজিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।আমি তিন মাস চারদিন কারাগারে ছিলাম।আমার সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করে উল্টো আমার উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ঝুলানো হয়।সেই কলংকের দাগ শুকানোর আগেই আরেকটা কলংক বাংলাদেশের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ।গত ২০২০ সালে ৫ নং আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের নিকট করোনা কালীন প্রণোদনা চাঁদাবাজি করিলে,তিঁনি অনাস্থা প্রকাশ করেন।ঐ সুত্র কে কেন্দ্র করে হারুন চেয়ারম্যান এর হসপিটাল ভাংচুর করিলে হবিগঞ্জের সাংবাদিক পাঁচ জন সহ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম।দিবালোকে নবীগঞ্জের ঐ চাঁদাবাজ সাংবাদিকরা আমাকে নির্যাতন ও হেনস্তা করে।তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমার প্রায় আড়াই বছর সময় লেগেছে।আইনের আওতায় আনার পরও আমি একজন মানবাধিকার জেলা শাখার সভাপতি এবং একটা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক থাকা অবস্থায়ও আমার এমন অবস্থা।এতে প্রমাণিত সাধারণ জনগণ ধুলাবালু।আজ নারী নির্যাতন মামলা সহ বিভিন্ন মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি আজাদ মুজিবের পক্ষে নারী নির্যাতন মামলার জামিন করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের জেলা উপজেলা পর্যায়ের বড় বড় নেতা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সুলতান মাহমুদ ও নবীগঞ্জ উপজেলা আঃলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান কাজল সহ অনেক এবং হবিগঞ্জের কিছু সাংবাদিকদের এফিডেভিড মাধ্যমে।জামিন পিটিশনে তিনজনের নাম থাকলেও একজন কাট গড়া থেকে পলাতক ছিল।এফিডেভিডে বলা হয়েছে আউশকান্দি ইউপিতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিসের ভিডিও ফুটেজ সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছিল।তাহলে সাংবাদিক ভাইয়েরা কিসের বিনিময়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন।আমি বাংলাদেশী সন্তান হিসাবে মনে করি এটা বাংলাদেশের বিরাট এক কলংক।এত বড় বড় কলংক কী কখনও বাংলাদেশ থেকে মুক্ত হবে?নিজের জন্মভূমির প্রতি আমার প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে, অন্যায় প্রতিরোধ করতে গিয়ে নির্যাতন নিপীড়ন হেনস্তা হলেও বড় বড় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কারণে বিচার পাওয়া থেকে দূরে থাকতে হয় বাংলার সাধারণ মানুষ।আমাদের বাংলাদেশে কিছু সাংবাদিক নারী নির্যাতন,ধর্ষণ,খুন গুম সহ নানা অপরাধ করবে,তা হয়তো বাংলাদেশের জন্য জায়েজ এবং আজীবন গডফাদার মাদার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকিবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here