বানিয়াচংয়ের কুখ্যাত ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার 

0
190

আকিকুর রহমান রুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের কুখ্যাত দুই ডাকাত শাহীন ও জুয়েল গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।পরে তাদেরকে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।

থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের নন্দীপাড়া মহল্লার মনু মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া(যাকে এক নামে সবাই কুখ্যাত মোবাইল চুরা হিসেবে স্বকৃত)।
গতকাল ১৮এপ্রিল(সোমবার)উপজেলা সদরের শরীফখানী মহল্লার একটি ঘরে জুয়েল ভোর সকালে চুরি করা অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়।
এসময় এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।পরে আটক থাকা জুয়েলকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে থানা পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এই জুয়েলের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় বেশ কয়েকটি চুরি,ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও থানা সূত্র জানায়।
এছাড়াও এই জুয়েল বানিয়াচং উপজেলাবাসী কুখ্যাত মোবাইল চুরা হিসেবে এক নামেই চিনেন।ছোট্র বেলা থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত চুরি করতে গিয়ে বিভিন্ন এলাকায় এবং হাটবাজারে নিম্নেও অর্ধ শতাধিক স্হানে ধরা পড়ারও খবর পাওয়া যায়।
পরে বানিয়াচং থানা পুলিশ ১৯শে এপ্রিল(মঙ্গলবার)কুখ্যাত চোরা জুয়েলকে ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ এমরান হুসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে আজ ১৯এপ্রিল(মঙ্গলবার)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের খন্দকার মহল্লার জামাল মিয়ার পুত্র কুখ্যাত ডাকাত আন্তঃজেলা দলের সক্রিয় সদস্য শাহীনকে ডাকাতকে গ্রেফতার করে লাখাই থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়,লাখাই থানায় একটি ডাকাতির মামলায় এই কুখ্যাত ডাকাত শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডাকাতির মামলার আইও এসআই দেবাশীষ তালুকদার জানান,গোপন সূত্রে তিনি শাহীন ডাকাতের অবস্থান জানতে পারেন লাখাই উপজেলার একটি গ্রামে অবস্থান নেওয়ার।
তিনি খবর সাথে সাথে তাৎক্ষণিক(১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বামৈ বড় বাজারে অভিযান চালিয়ে বানিয়াচংয়ের এই কুখ্যাত ডাকাত শাহীন(৪৫)কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরও জানান,গত গত বছরের ১০ এপ্রিল লাখাই উপজেলায় দিবাগত রাতে সিংহগ্রামের দক্ষিনে একদল ডাকাত ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পায় এলাকাবাসী।
পড়ে সিংহগ্রামের এলাকাবাসী মিলে ডাকাতদের দাওয়া করে এবং উক্ত ঘটনায় লাখাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয় এসআই দেবাশীষ তালুকদারকে।
তিনি ডাকাত শাহীন সম্পর্কে বলেন,তার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৮/১০মতো চুরি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও তিনি প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন।
এমনকি ৬টি ডাকাতির ঘটনার মামলার আসামী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এমনকি ডাকাত শাহীন এসব ডাকাতির মামলার জেলখাটা পলাতক আসামী ছিলো।
পড়ে ডাকাত শাহীনকে থানার নিয়মিত ডাকাতির মামলার সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে ১৯ এপ্রিল(মঙ্গলবার) হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান।এব্যাপারে লাখাই থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি)মোঃ সাইদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডাকাত শাহীন গ্রেফতারের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here