বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার লক্ষ্মীপুরা গ্রামের কবির হোসেন মালিকানা দিন মেসার্স আর কে বি ইটের ভাটা পরিচালনায় মানা হচ্ছে না সরকারের কোন নিয়ম কানুন।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় যে, ইটের ভাটাটি সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে কবির হোসেন তার কাছে নেই জেলা প্রশাসকের কোন অনুমতি এবং এই অবৈধ ইটের ভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে নষ্ট করছেন গরীব অসহায় মানুষের শতশত একর কৃষি জমি যাহা বাংলাদেশ সরকারের সম্পুর্নো নিষেধ কৃষি জমি নষ্ট করা, শুধু এখানেই থেমে নেই অবৈধ ইটের ভাটার মালিক কবির হোসেন সে ভাড়াটিয়া গুন্ডা মাস্তান ভাড়া করে চালিয়ে যাচ্ছে এমন কর্মকান্ড।
বাংলাদেশ সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের শত-শত একর জমির মাটি কেটে নিচ্ছে যাঁর কারণে শতশত পরিবার বন্যায় ভেসে যাওয়ার হুমকিতে আছে এবং সরকারি সম্পত্তির মাটি কেটে নিয়ে কোটি কোটি টাকা বনে গেছেন এই কবির হোসেন, সরকারি বেড়িবাঁধ নষ্ট করার কারনে বরগুনা জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড লিখিত নোটিশ করলেও তার কোন তোয়াক্কা করেছেন না ভাটা মালিক কবির হোসেন, আর এই সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মূল হোতা স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড লক্ষ্মীপুরার সাবেক ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ইদ্রিস ও স্থানীয় মাদক ব্যবসায়িক বেল্লাল, স্থানীয় কোন সচেতন মানুষ যদি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় তাহলে তার উপরে চালানো হয় নির্মম অত্যাচার তেমনি একটি প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে ১৩ই মার্চ বুধবার সকালে সজীব হোসেন নামে এক কলেজ ছাত্র প্রতিবাদ করলে তার উপর চালানো হয়েছে শারীরিক নির্যাতন আর এই নির্যাতনের নির্দেশ দেন বেল্লাল হোসেন ফোরকান হোসেন সহ কবির হোসেনের ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী এই বিষয় ঐ কলেজ ছাত্র বামনা উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বামনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয় বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব, তুষার মন্ডল সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তাত্ক্ষণিক এ এস আই উজ্জ্বল কে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, এবং ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র জানান তার সাথে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা সন্ত্রাসীরা কেরে নিয়েছে, তাই যাহাতে ঐ সকল হামলা কারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন, স্থানীয় বসবাস করা সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তাড়া জানান কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে মুখ খুললে তাদের প্রানের ঝুঁকি আছে তাই নিরবে সইতে হচ্ছে তাদের অত্যাচার তাদের দাবী প্রশাসনের কাছে প্রশাসন যেন এই সন্ত্রাসী কবির হোসেন সহ তার পালিত বাহিনী ইদ্রিস বেল্লাল ফোরকান কালাম এদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, এই বিষয় কবির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান সকল মহল ম্যানেজ করে সে তার কর্মকান্ড চালাচ্ছে তাই তার বিরুদ্ধে লেখালেখি বিচার দিয়ে কোন লাভ নেই বলে হুমকি দেন এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই কবির হোসেন এর খুঁটির জোর কোথায় জানার অপেক্ষায় শত-শত মানুষ তাকিয়ে আছে প্রশাসনের দিকে।
এই বিষয়ে কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোন নাম্বারি সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।