পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতা–কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমানসহ অন্তত তিন পুলিশ আহত হয়েছেন। মাথায় আঘাত পাওয়া ওসি মনসুরকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকার। সদর হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে । এদিকে সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক সরকারসহ অন্তত চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শহিদুলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে তাঁকে নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে দুপুর ১২টা থেকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনি খাতুন সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আলাইপুরের বাসার চারতলায় অবস্থান করছেন। সেখানে দুলুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ আছেন। তাঁদের সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিকেশ পাঁচটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা ছিল।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে। এই চারজন হলেন জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার, বড়াইগ্রাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুল হক, জেলা বিএনপি কার্যালয়ের অফিস সহকারী আসলাম উদ্দিন ও কেয়ারটেকার আইনুদ্দিন। তাঁদের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে। তবে কার্যালয়ের ভেতরে থাকা প্রায় ১৫ জন নারী কর্মীকে তিন ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।