বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেন সাংবাদিক বেলাল

0
169

এম এ কাদেরঃ সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণ মাধবপুর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ার হোসেন বেলাল এর উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর ২০২২ইং এ শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ দিনব্যাপী শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

দিনব্যাপী কর্মসূচি দেখতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।

লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, পেয়েছি যে বিজয় নিশান । প্রয়োজনে আবার দেবো রক্ত ঠেলে , বজায় রাখতে বিজয়ের মান । মোদের দেহে থাকতে রক্ত , বৃথা যাবেনা শহীদদের দান ।

বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে , দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস । আমি বিজয়ের গান গাই , আমি স্বাধীনতা কে চাই । আমি বিজয়ের পতাকা ধরে , সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই। তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ। তবুও ভাললাগা-ভালোবাসাময় তুমি, আমার বাংলাদেশ।

১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান, স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর। ১৬ই ডিসেম্বর, তুমি মহা বিজয়ের মহা উল্লাস। তুমি বিধবা মায়ের বন্দী শ্বাসের শান্তির নিঃশ্বাস।

প্রথম বাংলাদেশ আমার, শেষ বাংলাদেশ। জীবন বাংলাদেশ আমার, মরণ বাংলাদেশ। সব ক’টা জানালা খুলে দাও না! আমি গাইবো, গাইবো বিজয়েরই গান। ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ। আমি গাইবো বিজয়ের গান। লাল এর মাঝে ভালবাসা। সাদা এর মাঝে বন্ধুত্ব। নীল এর মাঝে কষ্ট। কালো এর মাঝে অন্ধকার। আর সবুজের মাঝে আমার বাংলাদেশ। বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরে মেলাবার আজই তো সময়, লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আস্বাদ ।

আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী। আপনার বা আপনার পরিবারের অসম্মানে আপনার যতটা কষ্ট হবে। তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এবং রাগ হবে আপনার দেশের অসম্মান হলে। তাই সর্বদা দেশকে সম্মান করুন এবং দেশের সম্মান রক্ষায় ব্রতী থাকুন।

আসুন আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সব অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, সবাইকে আমাদের দেশের মহত্ত্ব বোঝাব, সঠিক অর্থে আমরা একজন বাংলাদেশী হয়ে উঠব।

লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে, পেয়েছি যে বিজয় নিশান । প্রয়োজনে আবার দেবো রক্ত ঠেলে, বজায় রাখতে বিজয়ের মান। মোদের দেহে থাকতে রক্ত, বৃথা যাবে না শহীদদের দান।

বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে, দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস। আমি বিজয়ের গান গাই, আমি স্বাধীনতা কে চাই। আমি বিজয়ের পতাকা ধরে, সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই।

মুক্তির লাল সবুজ উল্লাসে পাজরের বন্ধন গুলো অন্য আলোয় উদ্ভাসিত মাসের লালিত ক্ষোভের দাবানলে ক্ষয় হয়ে যাক মনের সব নীচতা, মৌনতা, হীনতা।

মুক্ত পাখি, মুক্ত আকা্‌ মুক্ত আমি-তুমি। রক্ত দিয়ে কিনে নিলাম প্রিয় জন্মভূমি। মুক্ত মাটি, মুক্ত পানি, মুক্ত সোনার দেশ। মুক্তি সেনার রক্ত তো হবে না যে শেষ। যাদের রক্তে মুক্ত। স্বদেশ বিজয় এলো ঘরে। বিজয় দিনে আমরা তাদের ভুলব কেমন করে।

বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে একটা লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ।

বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে যাদের মহান আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বিজয়ের চেয়ে আনন্দ অন্য কিছুতে নেই। স্বাধীনতার চেয়ে সুখ আর কোথায় হয় না। আর আমরা বিজয় এবং স্বাধীনতা দুটোই পেয়েছি ।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ মাধবপুর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন বেলাল ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বিজয়ী শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্য দিয়ে শুরু করেন দিনব্যাপী কর্মসূচি। প্রথমেই মনতলা শাহজালাল কলেজের শহীদ মিনারে মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। পরে চৌমুহনী কলেজকে ডিগ্রী কলেজে উন্নতিকরণসহ ১৯ দফা বাস্তবায়নসহ কলেজের শহীদ মিনারে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। তারপর ধর্মঘর ডিগ্রী কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ উপস্থিত স্হানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহীদের সম্মানে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। এবং ধর্মঘর কলেজে শহীদ মিনার নির্মাণের অতি জরুরি মনে করে কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ রাখেন। এ সাথে শহীদ মিনার স্হাপনের কাজে পাঁচ হাজার (৫০০০/-) টাকা অনুদান ঘোষণা করেন, তিনি দক্ষিন মাধবপুর উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও এলাকাবাসীর নিকট।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন শেষে হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাল্লা কুশিয়ারা জালালাবাদ ড্রেমো ট্রেন চালুর দাবিতে হরষপুর রেল স্টেশন প্রাঙ্গনে সর্বস্তরের জনগণ নিয়ে বিশাল মানববন্ধন করেন।
মানব বন্ধন সমাপ্তির পর সমঝদিপুর গ্রামবাসী
এলাকার কৃতি সন্তান ডাঃ আনোয়ার হোসেন বেলাল, দক্ষিণ মাধবপুর উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব  মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ এলাকার সচেতন মহলের ব্যক্তিগন। তারই সাথে দেশ স্বাধীনের পর হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় সর্ব প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ( মাইটিভি’র) প্রতিনিধি হিসেবে যার আত্ব-প্রকাশ বিকাশিত হয়, তাকে ( সাংবাদিক এম এ কাদের’কে)  ফুলেল শুভেচছা সিক্ত করেন সমঝদিপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে নবীন প্রবীণরা এবং দক্ষিণ মাধবপুর উন্নয়ন পরিষদের সদস্যসহ শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষে ডাঃ আনোয়ার হোসেন বেলাল এর মা-বাবার কবরস্থানে ফুলেল পুষ্প স্তবক অর্পন করে এবং সমঝদিপুর পারিবারিক কবরস্থানে উনার পিতা মহরুম সুলতান মিয়া ও মাতা মহরুমা সুফিয়া খাতুন এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি। পরে উক্ত দিনের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here