মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ বিড়াল ভেবে মেছোবাঘের তিনটি ছানা নিয়ে ঘরে ওঠেন শিক্ষক দিবা রানী। খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে পড়েন বিপাকে। আকার-আকৃতি ও স্বভাব দেখে মনে জাগে প্রশ্ন। আসলেই কি বিড়াল ছানা? না অন্য কিছু! এসব চিন্তা করেই ছানা তিনটির ছবি দেন ফেসবুকে। এরপর জানতে পারেন বিড়াল নয়, তারা মেছোবাঘের ছানা।
দিবা রানী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ইছলা ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তিনি বলেন, পশু-পাখির প্রতি আমার একটা টান রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের কাছে একটি ছানার ডাক শুনে এগিয়ে যাই। এরপর টয়লেটের ছাদে আরো দুটি বাচ্চা দেখে সেগুলো উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসি। বিড়াল ছানা ভেবে সেগুলোকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে কী করব জানতে চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেই। ছবি দেওয়ার পর জানতে পারি তারা আসলে মেছোবাঘের ছানা। এরপর বন বিভাগের পরামর্শে ছেড়ে দেই।
ছবিগুলো দেখে মেছোবাঘের ছানা বলে নিশ্চিত করেন বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী। বন্যপ্রাণী বিভাগের পরামর্শে দিবা রানী কর বাচ্চাগুলো শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে ওই স্থানে ছেড়ে দেন। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে দেখতে পান বাচ্চাগুলো নিয়ে গেছে মা মেছোবাঘ।