এম এ কাদের, সরজমিন প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৩৫ সাটার বিশিষ্ট একটি মার্কেটসহ দুটি টিন সেট ঘর রয়েছে। তাতেও অহরহ অনিয়মে তথ্য মিলছে অনুসন্ধানে।
ঐ স্কুল এন্ড কলেজের অনিয়মের খবরে অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুল মার্কেটে সিকিউরিটি নিয়েও অনিয়ম করে যাচ্ছে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদসহ তার একটি সিন্ডিকেট। কোন কোন দোকাদার জানান, আমার সিকিউরিটি ১ লক্ষ টাকা করার পর আবারও ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন সিকিউরিটির নামে। ভাড়ার ক্ষেত্রেও আমাদের সাথে বিভিন্ন কৌশল করে যাচ্ছে প্রধান শিক্ষকসহ বেশ কিছু লোক। আমাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করে থাকেন স্কুলের শিক্ষক দীপক কান্তি রায়। তাছাড়া যতটুকু জানি দীপক মাষ্টার এই স্কুল মার্কেটের সমষ্টি ভাড়ার টাকা থেকে ১৫শত টাকা নেন পারিশ্রমিকের নাম করে।
এই বিষয় দীপক কান্তি রায় এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে ১৫শ টাকা স্কুল মার্কেটের ভাড়া আদায় করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।
আর এই ১৫শত টাকা ও স্কুল এন্ড কলেজ মার্কেটের সিকিউরিটির টাকার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই দেওয়া হয় আমার একক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। কিন্তুক অনুসন্ধানে তথ্য মিলছে বিভিন্ন রুপ। এই দীপক মাষ্টার হল অনিয়ম ও দুর্নীতি করার কলকাঠি।
প্রধান শিক্ষকের ডান হাত হিসেবে দায়িত্ব পালনে এক পায়ে দাড়িয়ে থাকেন। যত কাজই করে থাকেন প্রধান শিক্ষক, দীপক মাষ্টার কে দিয়েই করিয়ে থাকেন।
নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের পাহাড় সমমান অভিযোগ জমিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক। কাগজপত্রে কোন হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ।
সদ্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামছু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুল এন্ড কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতির ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তার উপর তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিক্ষা অফিসার’কে দায়িত্ব দিয়েছে এবং তদন্তও করা হয়েছে গত ৯ই মে বৃহস্পতিবার। যার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমানিত হবে তার উপর শাস্তি দিবে প্রশাসন। এই তদন্তের সাথে আমি একমত পোষণ করছি। যারা অপরাধের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি হোক।
স্হানীয় সচেতন মহলের বিশিষ্ট ব্যক্তিগন বলেন, আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে শিক্ষা অফিসার স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করেছেন আমরা শুনেছি। কি ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন প্রশাসন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। আমরা চাই তার দৃষ্টান্ত মূলক একটা কিছু হোক। যাতে করে আমাদের স্কুল এন্ড কলেজের কলংক দুর হয়।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি কারো বিরুদ্ধে প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।