মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিয়ের সময় আহসান উল্লা বলেছিলেন তাঁর নাম হাসান। গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ। মামলার বাদী মুনিয়ার ভাই নয়ন মামলার এজাহারে আহসান উল্লার নাম হাসান বলেই উল্লেখ করেন। বিয়ের আগে মুনিয়ার পরিবার আহসান উল্লার বিষয়ে কোনো খোঁজই নেয়নি। মুনিয়া পরিবারের কারও কোনো কথা শুনতেন না। তিনি নিজের পছন্দেই বিয়ে করেছেন।

ডিবির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মানস কুমার পোদ্দার বলেন, দীর্ঘ সময় লেগে থেকে মুনিয়ার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের পর আসামি আহসান উল্লা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ নেন। সেখানে তিনি আবার বিয়ে করেন। তাঁর আড়াই মাস বয়সী একটি শিশুসন্তানও রয়েছে।
মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, পল্লবী এলাকার বাউনিয়া বাঁধ এলাকায় মুনিয়াদের টিনশেড বাড়ি আছে। তিনি স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আহসান উল্লা মিরপুরে একটি মোজার কারখানায় কাজ করতেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মুনিয়ার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আহসান উল্লার সঙ্গে পরিচয় হয়। কিছুদিন পর তাঁরা বিয়ে করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিয়ের বিষয়ে আহসান উল্লা বলেছেন, এই বিয়েতে তাঁর মত ছিল না। তিনি বাধ্য হয়ে মুনিয়াকে বিয়ে করেছেন। আর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় তিনি ঢাকার কদমতলীতে থাকতেন। ওই ঠিকানা দিয়েই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র করেন। ফরম পূরণকারী অস্থায়ী ঠিকানাকেই স্থায়ী ঠিকানা লিখে দিয়েছেন। এটি তিনি পরে জানতে পেরেছেন।
ডিবির পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোস্তফা কামাল বলেন, বিয়ের সময় আহসান উল্লার বয়স ছিল ২৭ বছর, আর মুনিয়ার বয়স ছিল ৪৫ বছর। বয়সের পার্থক্যের বিষয়টি আহসান উল্লা মেনে নিতে পারছিলেন না। মুনিয়া তাঁকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন বলেও দাবি করেছেন আহসান উল্লা। ঘটনার দিন রাতেও তাঁদের মধ্যে কলহ হয়। এর জেরেই মুনিয়াকে খুন করে পালিয়ে যান আহসান উল্লা।