এফআইআর টিভি অনলাইন ডেক্সঃ গত ২৮শে ফেব্রুয়ারীতে শাহপুর গ্রামের মফিল মিয়ার জায়গা বিক্রি করেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া কাছে এবং জমি রেজিষ্ট্রারী নিয়ে প্রতারনার করে ফারুক মিয়া সাধারন কৃষক মফিল মিয়ার সাথে এই নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে । আজ ১২ আগষ্ট দুপুরে এই মামলার সততা যাচাই করতে সরজমিনে আসেন মাধবপুর উপজেলার সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আশরাফ আলীসহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তাগন । জায়গাটি বিক্রি করা হয়েছিল ২০১৯ সালে আর আমি দীর্ঘ বছর যাবত শাহপুর ( পূর্ব পাড়া ) জামে মসজিদের ইমাম দায়িত্ব পালন করে আসছি বিধায় এই বিষয়ে আমাকে ফারুক মিয়া জায়গা ক্রয়ের ব্যাপারে অবগত করেছিল । কিন্তুক যে জায়গা ক্রয় করেছিল তা রেজিষ্ট্রারী না করে অন্য জায়গা রেজিষ্ট্রারী করে নেয় এই নিয়ে চলছে মামলার পর মামলা ।
সমাজ সেবা অফিসারের সম্মুখে এই ঘটনার সততার বিবরণ দেওয়া কেন্দ্র করে ফারুক মিয়া, আব্দুর রউফ মিয়া উভয় পিতা: মৃত ইয়ার হোসেন ও ফয়সাল মিয়া পিতা মৃত মুক্তল হোসেন, আমার উপর নির্যাতনের চেষ্টা চালায় এমনকি আমি মসজিদে যাওয়ার পথে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে মারার জন্য রাস্তায় এটাক করে, মসজিদের মোয়াজ্জিমসহ অন্যান্যরা এগিয়ে এসে আমাকে প্রাণে রক্ষার করে । যাবার সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন আমাকে মেরে ফেলার । পরে স্থানীয়দের অবগত করে আমি মাধবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি । এমনি তথ্য জনিয়েছেন শাহপুর ( পূর্ব পাড়া ) জামে মসজিদের ইমাম সাহেব হাফেজ ক্বারী মোঃ আব্দুল্লাহ ।
এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায় এক ভয়ানক তথ্য ফারুকের বিরুদ্ধে ।
জাল জালিয়াতি করা আসল চরিত্র ভূমি খেকো দালাল ফারুক এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে! মাধবপুর উপজেলার বহু অপকর্মের হোতা ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং শাহপুর গ্রামের মৃত সুরত আলী ওরফে ইয়ার হোসেনের ছেলে ফারুক হোসাইন ওরফে দালাল ফারুক (৫৫)। দলিল জালিয়াতি থেকে শুরু করে ভূমি দখল, রেকর্ড জালিয়াতি, ভুয়া নামজারি করে রেজিস্ট্রির ব্যবস্থা করে দেওয়া- এমন অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এমনকি জাল দলিল চক্রের সক্রিয় সদস্যও তিনি।
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড শাহপুর ( গ্রামে তার বাড়ি। তবে এলাকায় মানুষ তাকে ভূমির দালাল হিসেবেই বেশি চেনে। এছাড়া এলাকায় বেশ পরিচিত ব্যাঙ বেপারীর ছেলে বা ব্যাঙ কাটার পুলা হিসাবে । তার বাবা পূর্বে একসময় ব্যাঙ ধরে বিক্রি করে সংসার চালাত ।
গ্রাম্য পঞ্চায়েতের সঙ্গে জড়িত ওই এলাকার মো. মুতি মিয়া তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফারুক এলাকায় ভূমির দালাল, এমনকি ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করাই তার কাজ। তার নির্দিষ্ট কোনো আয়ের উৎস নেই। জাল-জালিয়াতি করেই তিনি রাজার হালে চলেন। একই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় অসহায় ব্যক্তিবর্গরা।
৯নং ওয়ার্ড (শাহপুর, আলীনগর) ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নসহ অধিকাংশ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, ফারুক বিভিন্ন কৌশলে দাগ, খতিয়ান, মাঠপর্চা, এসএ পর্চা, নামজারি মোকদ্দমা ও দলিলের নাম্বার সংগ্রহ করে তা দিয়ে শুরু করে তার জাল জালিয়াতির কাজ।
খবর নিয়ে জানা যায় যে, শাহপুর গ্রামসহ আশপাশের অনেক লোকজন তার জাল জালিয়াতিতে সর্ব হারা হয়ে পথে বসে আবার অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। চলমান সময়ে যাদের জায়গা জমি নিয়ে জাল জালিয়াতি করেছে তাদের মাধ্যে হলেনঃ-০১.শাহপুর গ্রামের মৃত আয়ুব আলীর ছেলে মোঃ শাহ আলম মিয়া, ০২. শহীদ মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া, ০৩.মৃত হুকুম আলীর স্ত্রী, ০৪.মৃত. হাফিজুল্লার ছেলে মোঃ মুতি মিয়া, ০৫. মৃত আব্দুল আলীর ছেলে জজ মিয়া, ০৬. জব্বর আলীর ছেলে মিজাজ আলী, ০৭. মৃত. আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে মোঃ জসিম মিয়া, ০৮. মৃত. আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ে মোছাঃ শিরিন ও মোছাঃ সেবিকা আক্তার, ০৯. মৃত. ইসহাক মিয়ার ছেলে মোঃ শারাজ মিয়া, ১০. মৃত মৌল হোসেনের মেয়ে পারভীন আক্তারসহ বেশ কিছু মানুষের জমি জমা জাল জালিয়াতি করে করে নিজের নামে ও অন্য লোকের নামে করে নিয়েছে ।
এছাড়া মৃত. মোঃ লাল মিয়া সর্দারের ছেলে মোঃ মফিল মিয়ার জমি নামজারি করার নাম করে হাতিয়ে নেয় ৫০হাজার টাকা। শুধু তা নিয়েই শান্ত হয়নি বরং মফিল মিয়ার ৫ শতক জমি ফাইনাল প্রিন্টে তার নামে করে নেয়। শুধু কি তা নিয়ে দালাল ফারুক তার জাল জালিয়াতির দৌড় স্থির হয়েছে না না না ! মফিল মিয়ার যে জায়গাটায় তার সন্তানরা একটা কিছু করে তাদের জীবন চলার স্বপ্ন দেখে আসছেন, সেই স্বপ্নময়ী সম্পদেরও উপর দালাল ফারুকের নজর পড়ায় শেষ পর্যন্ত ঐ জায়গাটাও জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারি করে নেয়।
পরে মফিল মিয়ার স্বজনরা লোক মারফতে জানতে পারে যে তার সন্তানদের স্বপ্ন দেখে সম্পদও চলে যাচ্ছে ভূমি খেকো দালাল ফারুকের কবলে। তার পর তিনি আইনি সহায়ত গ্রহণ করে হবিগঞ্জ জেলা আদালতে মামলার দারস্ত হয়।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এলাকায় ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন ফারুক । ফারুক শুধুই কি ভূমি দালাল? না। সে ভূমি ও আদম দালালীতে যেন, ২য় সাহেদ । তার অপকর্মে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষজন।
এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করা হচ্ছে না কেনো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। জেলও খেটেছেন। এলাকার লোকজন তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না । তাছাড়া এলাকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। কেউ বড় কোনো বিপদে না পড়লে দেন-দরবার, মামলায় যেতে চান না । পাশাপাশি এলাকার মুরুব্বিরাও তাকে কিছু বললে, সে মুরুব্বিদেরকেও পাত্তা দিচ্ছে না । বরং দালাল ফারুকের কাছ থেকে শুনতে হয় অশ্লীল শব্দোচ্চারণের প্রতিধ্বনি। দালাল ফারুক প্রায়ই সময় হুমকি সরুপ বলেন, আমি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, আমাকে নিয়ে যদি কোন ব্যক্তি কোন প্রকার মন্তব্য করতে যান, তাহলে নিজেকে জেল হাজতে বন্দী থাকার জন্য প্রস্তুত হয়ে কোন কিছু বলার সাহস যোগায়েন।
অথবা নিজের জীবনের ইতি টানতে যদি কোন আপত্তি না থাকে, তাহলে আমাকে নিয়ে আপনার যা ইচ্ছে বলা বলি করতে থাকেন। কিন্তুক ভুলে যাইয়েন না আমি কিন্তুক হবিগঞ্জ জেলার সাবেক মেয়র মোঃ শহীদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ওরফে চৌধূরী সাহেবের লোক।
দালাল ফারুক কোন কোন জায়গায় চৌধুরীর ছেলে পরিচয় দিয়ে থাকেন আবার কোন কোন জায়গায় চৌধুরীর খুব নিকটতম আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে নিজের পায়দা হাসিল করে থাকেন। এবং চৌধুরীর সাহেব কে যারা চিনেন তাদের কাছে কেয়ার টেকার হিসাবেই নিজেকে পরিচয় দেন । তাই কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলছে না। আর চৌধুরীর সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা যায় ফারুক উনার কেয়ার টেকার নয় । যদি তিনি অস্বীকার করেছেন কিন্তুক ফারুক যে, উনার স্ব-সম্পত্তি ও বাসা বাড়ি এবং মার্কেটের দেখা সোনার দায়িত্ব পালনে রয়েছেন তা সরজমিনে গেলে অহরহ প্রমান মিলবে ।
“একটা ব্যবস্হা নেবে সরকার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ( আশাবাদী ভুক্তভোগীরা)” ভূমি মন্ত্রীসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি থাকিয়ে রয়েছেন এলাকার অসহায়, গরীব দুঃখি, মেহনতী ও দালাল ফারুকের কবলে শিকারে বিপদ গহস্ত ব্যক্তিগন।
প্রশাসনিক ক্ষমতার চেয়ে কি দালাল ফারুকের ক্ষমতা বেশি? নাকি প্রশাসনের ক্ষমতা সব সময়ই বেশি?
বিশ্বের দরবারে এই দালাল ফারুকের শাস্তির ভয়াবহতার দৃষ্টান্ত দেখে যেন, আর কোন ভূমি দালাল কোন এলাকায় গড়ে উঠতে না পারে এমনই ব্যবস্হা অপেক্ষার পহর গুনছে শাহপুর গ্রামের ভুক্তভোগী জনসাধারণসহ মাধবপুর উপজেলাবাসী।
এলাকায় সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক ব্যক্তিরা দালাল ফারুক সম্পর্কে বলেন, ভূমিদস্যু দালাল ফারুক অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, এ খবর আমরা পেয়েছি। তিনি এলাকার নিরক্ষর লোকদের জায়গার দলিলাদি নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন। ভূমি কার্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি তার কাজ।
এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত ফারুক মিয়ার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তার মোবাইল ফোনটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায় ।
দিনের পর দিন এমনি করে দালাল ফারুকের ক্ষমতার জোর বেড়েই চলেছে। জাল জালিয়াতি করা তার আসল চরিত্র আ.লীগ নেতা ভূমি খেকো ফারুক এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে! টাকা পয়সা ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ফারুকের খুঠির জোর কোথায়? জানতে চায় মাধবপুর উপজেলাবাসী।
এই ভয়ংকর ভূমি খেকো দালাল ফারুকের গডফাদার কে? জানাতে বাংলার সকল কলম সৈনিকদের একনজর দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অত্র এলাকার যুব সমাজসহ সচেতন মহলের বিবেকবান অগণিত ব্যক্তি বর্গগন।
উপরোক্ত সংবাদ প্রকাশের পর হতে দালাল ফারুক আরো বেপরো হয়ে উঠেছে । লোক সমাজে বলে বেড়ায় নিউজ করে আমার কিছুই করতে পারবে না । আমার জন্য চৌধুরী সাহেবই যতেষ্ট । আমি যা বলি বা যা বুজাব তাই বুজবে চৌধুরী সাহেব ।শাহপুর গ্রামের আরো অনেক অসহায় পরিবারকে দিনের পর দিন হয়রানী করে আসছে । এলাকায় থমথম উত্তেজনা ভাব বিরাজ করছে, যে কোন সময়ে রক্তপাত ঘটার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে ।
ভুমি খেকো দালাল ফারুক‘কে নিয়ে এলাকায় চলছে চায়ের কাপে (জাল-জালিয়াতি ও দালালির) ঝড় ।বড় হাস্যকর বিষয় হল গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী জমি রেজিষ্ট্রারী করার পর দেখা যায়, ফাইনাল প্রিন্টে ফারুকসহ অন্যনান্য ক্রয়দাতাদের নাম চলে আসল প্রিন্ট পর্চায় শুধু তাই নয় যার নাম দলিলেই নাই তার নামও রয়েছে । রেজিষ্ট্রারী দলিলে ক্রয়দাতা রয়েছেন, ফারুক. আব্দুর রউফ. হুমায়ূন আহমেদ. জুনাইদ মিয়া ও মোশাহিদ মিয়া্ । কিন্তুক ফাইনাল প্রিন্টে আসছে ফারুকের ছোট ভাই শামিম মিয়ার নাম ।