এম এ কাদেরঃ “চাঞ্চল্যকর গৃহীনি খুশনাহার (৪৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন মূল আসামী সহ গ্রেফতার ০২ জন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রশি উদ্ধার, মূল আসামী বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান”
গত ০৮/০৭/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় ০৬নং শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ফরহাদপুর সাকিনের জনৈক নুর আলীর মেয়ে ভিকটিম মোছাঃ খুশনাহার আক্তার (৪৫) স্বামী-তাজুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় তাহার মায়ের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তাহার মা নিজ ঘরে ঘুমাইয়া পড়ে্ এবং ভিকটিম তার নিজ ঘরে চলিয়া যায়। ইং ০৯/০৭/২০২২ তারিখ ভোর ০৬.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের পাশের ঘরের জনৈক ধনু মিয়া ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় মোছাঃ খুশনাহার আক্তার (৪৫) তাহার বসত ঘরের বাহিরে দরজার পাশে পড়িয়া আছে। তখন ধনু মিয়া ডাক চিৎকার করিলে ধনু মিয়ার স্ত্রী সহ খুশনাহারের মা, ভাই ও আত্বীয় স্বজনগন ভিকটিমের ঘরের সামনে আসিয়া দরজার সামনে ভিকটিম মোছাঃ খুশনাহার আক্তারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন। ভিকটিমের ভাই মোঃ মছরব আলী, পিতা-মোঃ নুর আলী, গ্রাম- ফরহাদপুর থানা- মাধবপুর, জেলা -হবিগঞ্জ এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ মাধবপুর থানার মামলা নং-১৭/৩১১, তারিখ- ১১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া এসআই (নিঃ) মোঃ জাকারিয়া এর উপর তদন্ত ভার অর্পণ করেন।
ঘটনার পর টিম মাধবপুর থানার একটি চৌকস টিম হবিগঞ্জ জেলার মান্যবর পুলিশ সুপার জনাব এসএম মুরাদ আলী মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সহাকারী পুলিশ সুপার মাধবপুর সার্কেল মহোদয় এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে স্থানীয় ভাবে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ক্লুলেস হত্যা মামলাটির দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেন। অত্র ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী ১। মোঃ তাজুল ইসলাম (৪৫) পিতা-মৃত আফছার উদ্দিন ২। মোছাঃ ছালেমা খাতুন (৩৮) স্বামী-মোঃ তাজুল ইসলাম উভয় সাং-ফরহাদপুর, ৬নং ইউ/পি, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ জাকারিয়া ও সঙ্গীয় অফিসার – ফোর্স সহ ইং ১৭/০৮/২২ তারিখ চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম হইতে ভোর বেলায় তাদের গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি রশি আসামীর বাড়ীর পিছনের জঙ্গল হইতে আসামীর দেখানো মতে উদ্ধার করা হয়। অদ্য আসামী তাজুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মাসুমা আক্তার এর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামীদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।