অভিযুক্ত যুবকের নাম মোঃ ভুবন শাহ (২৭)। সে শাহপুর গ্রামের রেল লাইন সংলগ্ন জমসের আলীর ছেলে।
সালিশ বিচারে উত্তেজিত হয়ে ওই তরুনীর ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাধবপুর থানা পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এদিকে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানান ওই তরুনীর মা।
পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, শাহপুর নতুন বাজার সংলগ্ন মৃত আনছব আলীর মেয়ে বিলকিছ বেগম (১৯) অলিপুর একটি কারখানায় কাজ করতো। সে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই ভূবন শাহ তাকে কু-প্রস্তাব দিতো, উত্যক্ত করতো। গেলো প্রহেলা জুলাই শুক্রবার বিকালে শাহপুর নতুন বাজার যাত্রী ছাউনির কাছে লাকড়ি আনতে গেলে বিলকিছকে আবারো কু-প্রস্তাব দেয় ভুবন। এতে রাজি না হলে ভুবন ও তার কয়েকজ বন্ধু মিলে বিলকিছের হাত বেধেঁ মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে গাড়িতে তুলতে চাইলে সাথে থাকা বিলকিছের ছোট বোন আত্মচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় ভুবন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিকভাবে সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করে গ্রাম্য মুরব্বি। পরদিন ২রা জুলাই শনিবার বিকাল ৪টায় সালিশ বিচারে ভুবনকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে ভুবন ও তার ভাই-ভাতিজা উত্তেজিত হয়ে বিলকিছের ভাই জুনাইদকে দাড়ালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এসময় বিলকিছকেও কিল ঘুষি মারে ভুববনের বড় ভাই দুলাল। পরে স্থানীয়রা গুরতর আহত অবস্থায় জুনাইদকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
সালিশে আসা কয়েকজন জানান, যখন ভুবনকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়, সে ওই সময় উত্তেজিত হয়ে জুনাইদকে গিয়ে একটি লাথি মারে। এসময় ভুবনের ভাই মিলন মিয়া, হারুন মিয়া জুনাইদকে ঝাপটে ধরলে ভাতিজা জীবন মিয়া একটি দাড়ালো ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করে। অন্যদিকে তার ভাই দুলাল মিয়া বিলকিছকে মারধর করে। তবে এর তাদের আইনের আওয়তায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান এলাকাবাসী।
আহত জুনাইদের মা মোছাঃ আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৪ই জুলাই মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮।
এই বিষয় মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আহত জুনাইদের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে আমরা স্ব-চেষ্ট রয়েছি।