এম এ কাদেরঃ হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউ’পির ০৯নং ওয়ার্ড এক্তিয়ারপুর গ্রাম ৫ই মার্চ শনিবার সন্ধা ৭ ঘটিকা সময় স্থানীয় এক্তিয়ারপুর চক বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২রা মার্চ খেলার মাঠে মস্তু মিয়া ছেলে জুয়েলকে মারধোর করে, সাবেক মেম্বার হাদিস মিয়ার ভাতিজা ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে শাকিল। আর শিশু বাচ্চাদের খেলা নিয়ে দ্বন্দ সৃষ্টি হয়। মস্তু মিয়া নিরীহ হওয়া হাদিস মিয়ার লোকজন প্রভাব খাটিয়ে চলছে তাদের উপর।
এই বিষয়ে বার বার নির্বাচিত বর্তমান মেম্বার মোঃ আব্দুর রউফ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মস্তু মিয়ার ছেলে’কে ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে খেলার মাঠে মারধোর করেছে বলে আমার কাছে বিচারের জন্য আসেন এবং মস্তু মিয়া জানান আমার ছেলেকে মারধোর করেও তারা শান্ত হয়নি, আমার বাড়িতে গিয়ে তার আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে ।
পরে আমি এলাকার বিশিষ্টজনদের সাথে কথা বলে এর একটা সমাধান করার চেষ্টায় হাদিস মিয়ার নিকট প্রস্তাব দেওয়ার সময়, তার ভাই ভাতিজা আমার সাথে চরম খারাপ আচরণ করা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিতর্কিত ভাবে আমাকে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে মানতে রাজি নয় বলে প্রকাশ করে এবং আমার উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এসময় উপস্থিত থাকা লোকজনের সহয়তায় আমার প্রাণ রক্ষা হয়।
কিন্তুক আমাকে বাচাতে যারা এগিয়ে আসেন তাদের মধ্যে অনেকই আহত হয় এবং একটি দোকানের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। এতে আহত হয়, ওয়াহিদ মিয়া, আজিজুল, নুরু উদ্দিন, রিপন, আব্দুর শুকুরসহ ১০ জন।
তাত্ক্ষণিকভাবে আমি মাধবপুর থানা পুলিশ কে অবগত করলাম, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনত
সক্ষম হয়েছে।
হাদিস মিয়ার লোকজন এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী শুধু তাই নয়, তারা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে রয়েছে।
এবং সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ভোট গননার সময় জোর পূর্বক নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হেন্যাস্হ ও ভোট কারচুপির চেষ্টা করেছিল। কিন্তুক প্রশাসনের কঠোরতার কারনে তা করা সম্ভব হয়নি তাদের।
তারা সব সময়ই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকার গরীর ও নিরীহ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করে আসছে।
এই ঘটনায় আহতদের মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।