এম এ কাদেরঃ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়েও স্বজনপ্রীতি করায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষুব্ধ সৃষ্টি হয় ইউনো ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ।
উপজেলার বেশ কিছু সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রকাশকরা পর্যবেক্ষণ কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কে জিজ্ঞেসা করলে তিনি বলেন, ইউনো যাদের আবেদন বাচাই করে আমার কাছে পাঠিয়েছেন আমি এগুলো দিতে পারব। এখানে আমার কোন হাত নেই। আর ইউনোর সাথে কথা বলার জন্য মোবাইলে ফোনে বার বার চেষ্টা করলে তিনি কোন ফোন কল রিসিভ করেনি বরং বার বারই ফোন কল কেটে দেন।
যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্ড পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেক সংবাদ কর্মী রয়েছেন কেউ কেউ স্হানীয় কোম্পানিগুলোতে চাকুরীরত রয়েছেন। তাদের কে কোন সময় কোন সংবাদ সংগ্রহ করতে মাঠে ময়দানে নজরেই পড়ে না, নিউজ তো দুরের কথা। আবার অনেকেই রয়েছে দোকানদার, তারাও সাংবাদিক হিসাবে পর্যবেক্ষণ কার্ড পেয়ে আজ তারা বড় সাংবাদিক। আর যারা দিন, সাপ্তাহ, মাস ও বছর জুড়ে সংবাদ সংগ্রহ, সংবাদ প্রকাশসহ দিন কাজ করে যাচ্ছে আজ তারা কিভাবে পর্যবেক্ষণ কার্ড থেকে বঞ্চিত হয়, এই প্রশ্ন এখন জাতির বিবেকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলেছে।
কোন কোন সূত্র থেকে প্রকাশ পায় যে, মাধবপুর প্রেসক্লাবের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক সাংবাদিক পর্যবেক্ষণ কার্ড থেকে বঞ্চিত।
এব্যাপারে জানতে চাইলে,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান ও আইয়ুব খান, রুকন উদ্দিন লস্কর, অলিউল্লাহ (অলিদ), রাজিব দেব রায় সহ আরো অনেক সদস্যরা এক কথায় উত্তর দেন ইউনোর সাথে কথা বলেন, এই ব্যাপারে আমাদের কোন হাত নেই আর কিছু বলার নেই।
তাহলে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যারা প্রেসক্লাবের সদস্য তারা সবাই সাংবাদিক আর কোন সাংবাদিকই সাংবাদিক নয়।
আবার কোন কোন সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীলীগের সাথে যাদের সু-সম্পর্ক রয়েছে তারাই কার্ড পেয়ে যাবে আর বাকিরা কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন পর্যবেক্ষণ কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত সাংবাদিকরা।
কার্ডধারী, নামধারী, দোকানদরী সাংবাদিকদের নিয়ে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ হবে ” আমি সাংবাদিক শিরোনামে ” জানতে চোখ রাখুন এফআইআর টিভি অনলাইন এ ।