এম.এ কাদেরঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের নোয়াপাড়া শাহপুর নতুন বাজার নামক স্থানে অবঃ প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার গাড়ির চাপায় প্রাণ গেল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আছকির তালুকদারের নাতি সায়েম তালুকদারের। ঘটনাটি ঘটেছে ৩রা নভেম্বর সকাল আনুমানিক ১১টায়।
শিশু সায়েমের পিতা সুজন তালুকদার জানান, আমার ছেলে শাহপুর নতুন বাজারস্থ জসীম একাডেমি থেকে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে অবঃ প্রাপ্ত মেজর ফারুক ও তার সহযোগীরা একসঙ্গে বেশ কয়েক টা গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্য যাত্রা করে পথিমধ্যে শাহপুর নতুন বাজারে অতিক্রম করার সময় আমার ছেলে রাস্তা পারা পারকালে আমার ছেলে গাড়ি চাপায় আহত হয় । পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেট পথে যাত্রা করার পর গাড়িতেই আমার ছেলে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়।
মেজর ফারুক আমার ছেলের দুর্ঘটনার পর থেকেই আমার পরিবার ও আমার বন্ধু শাহ আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে অব্যাহত রাখেন।মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর তিনি স্বজন হারা কন্ঠে কান্নায় জড়িয়ে পড়েন এবং বলেন আমি জানাযায় উপস্থিত হব। পরে মেজর ফারুকের সহচরদের নিয়ে জানাযায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, আজ যে মাছুম শিশু বাচ্চা আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিলেন, সেই শিশুটি আমার সন্তান। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করছি। আর শিশু সায়েম এর পরিবার আজ হতে আমার পরিবার। আমি যতদিন বেছে থাকব ততদিন যেন এই পরিবারের সকল সদস্যদের দেখার তৌফিক দান করেন মহান আল্লাহ তায়া’লা।
পরে আমার ছেলের দাফন সম্পুর্ন হয়। সকলের কাছে আমি দোয়া কামনা করি, যেন আমার মাছুম শিশু বাচ্চা সায়েম কে, আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের মাকাম দান করেন।
আল্লাহ যেন এই শিশু বাচ্চাটিকে জান্নাতবাসী করেন। শোকাহত মা বাবাসহ পরিবারের সকলকে ধৈর্য্যধারন করার তৌফিক দান করেন (আমিন)।
এভাবে কত শিশুর রক্ত ঝড়লে মহাসড়ক নামে রক্তক্ষয়ী সড়ক শান্ত হবে!
আর কত মায়ের কোল খালি হলে বন্ধ হবে সড়ক দুর্ঘটনায় নামে রক্ত মাখা মহাসড়ক!
আর কত বাবা সন্তান হারালে বন্ধ হবে দুর্ঘটনা নামক ভয়ংকর প্রতিধ্বনি!
আর কত স্বজনদের রক্ত চুষবে এই মহাসড়ক!
আর কত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসন শূন্য হলে শান্ত হবে মহাসড়ক!
সময়ের জোর দাবি শাহপুর এলাকাবাসীর, অবিলম্বে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
আমাদের মা, বাবা, ভাই, বোন, ছেলে, মেয়েসহ আত্মীয় স্বজনদের হাড়াতে হাড়াতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পরেছি। একবার সুদৃষ্টির নজরে প্রশাসনের সু-নজর কামনা করছি আমরা শাহপুর গ্রামবাসী।