এম এ কাদের, সরজমিন প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউ’পির শিমুলঘর গ্রামের রাস্তার গাইড ওয়ালের কাজের ভিত্তি প্রস্হর শুভ উদ্বোধনীয় নেইম প্লেটটি ভেঙে চুরমার করে ফেলেছেন।
সরজমিনে গিয়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর কে বা কাহারা রাতে আধারে তা ভেঙে চুরমার করে ফেলে রেখেছেন তা কারুই জানা নেই। অবাক করা বিষয় হলো, উপজেলা চেয়ারম্যানের দেওয়া নেইম প্লেটটি সুরক্ষিত রয়েছেন। যে ব্যক্তিই এই অপকর্মটি করেছেন তা প্রতিহিংসা বা এলাকার মধ্যে দলীয় কোন্দল হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্যই এই কাজটি করেছে বলে ধারণা করছে এলাকার সচেতন মহলের অধিকাংশ ব্যক্তিরা।
এই বিষয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মাধবপুর উপজেলার ১০নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নে ০৫ নং ওয়ার্ড কমিটির (শিমুলঘর গ্রামের) সভাপতি মোঃ জাহেদ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমাদের নজরে পড়েছে গত নির্বাচনের কিছু দিন পরে আনুমানিক সপ্তাহ দিনের মধ্যেই কে বা কাহারা এই কাজটি করেছে তা আমাদের জানা নেই, কিন্তু এই বিষয়টি খুবই দুঃখ ও নেক্কার জনক । আমাদের ওয়ার্ড কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা একটা মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে, জানিয়েছেন তিনি । আর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী শ্যামল দেব নাথ এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি এই কাজটি করেছে তা জানতে পারিনি বিধায় আমরা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারছি না। কিন্তুক এই কাজটি করে আমাদের গ্রামের সম্মানহানি করেছে শুধু তাই নয় অসব্বতার পরিচয়ও প্রকাশ করেছে।
রাতে ভেঙে চুরমার করে দেয় ভিত্তি স্হাপন নেইম প্লেটটির বিষয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অত্র ( ১০নং ছাতিয়াইন) ইউনিয়ন কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম বাহার বলেন, এই ঘটনাটি করে আমাদের কে আদি সব্বতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এমনকি কুচক্র মহলের ব্যক্তিরা ডিজিটাল বাংলাদেশর আইন ও সম্মানিত ব্যক্তিদের বড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রমাণ করছে যে, দেশ এগিয়ে গেলেও তারা উন্নয়নের গতিশীলতাকে আদি যুগের বাস্তব রূপ ধারণ করতে তাদের মন মানুষিকতা’কে কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের হবিগঞ্জ জেলার সংসদীয় ০৪ আসনের এমপি, বাংলাদেশ বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী মহোদয়ের কাছে শিমুলঘর গ্রামের সকল মানুষকে লজ্জিত মুখে এনে দাঁড় করিয়েছেন। যা আমাদের গ্রামবাসীদের জন্য খুবই দুঃখ জনক ও লজ্জা জনক। এই বিষয়টির আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই বিষয় প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী বলে আমি মনে করছি। নয়তো ভবিষ্যতে আমাদের এলাকার উন্নয়নের কার্যক্রমের জন্য এমন নেক্কার জনক কাজের জবাবদিহি করতে হবে সচেতন মহলের নাগরিকদের, বলে আমার মনে হচ্ছে। এমনকি এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবকদের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান দাড় করিয়ে দিতে বাধ্য করছে।
আমাদের এমপি মহোদয় আমাদের গ্রাম তথা মাধবপুর উপজেলার জন্য গৌরব ও অহংকার তা দলমত নির্বিশেষে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই মন থেকে গর্ভ করে সমাজে বসবাস করে আসছে । আমি আমার এলাকার সকলকে উদ্দেশ্য করে একটা অনুরোধ করছি, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আপনারা এমন অসব্বাতা কাজ থেকে দুরে থাকুন এবং এলাকার জনগনের জন্য অশান্তি পরিবেশ সৃষ্টি থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। আমাদের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যুব সমাজ কে, একটি শান্তি ও ডিজিটাল সমাজ উপহার দিতে বদ্ধপরিকর ঘোষণা করুন। যাতে করে আমাদের আগামীদিনের যুব সমাজ সুশীল সমাজের গুণাবলি দেখে দেখে গ্রাম গঞ্জের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আমাদের বর্তমান সমাজের ব্যাধী গুলো যেন দিনে দিনে দুর্বল হয়ে এক সময়ে শূন্যর কৌটায় নেমে আসে এটাই আমার সর্বশেষ অনুরোধ রইল। এই ঘটনাটি নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে লজ্জার ঝড় বইছে। আমরা এমন আর কোন অনাকাংখিত ঘটনা না ঘটে সেই দিকে আমাদের আরো সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে বলে আমি মনে করছি ।
নব নির্বাচিত ইউ’পি সদস্য ( ০৫ নং ওয়ার্ড শিমূলঘর গ্রামের মেম্বার ) মোঃ কামাল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ও নিজেও গিয়ে দেখেছি, ঘটনাটি ঘটেছে তা সত্যি, যা খুবই দুঃখের বিষয়। যা মুখ খুলে বিষয় টা নিয়ে কথা বলতে নিজ এলাকার মূর্খ জাতির পরিচয় প্রকাশ পায় বটে। আমি এই প্রথম মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছি, আমি চেষ্টা করে যাব আমার দায়িত্ব পালন অন্তর্বর্তী সময় কাল পর্যন্ত যেন, প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন প্রকার অশান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। এবং আমার দ্বারা কোন মানুষ কোন প্রকার দুঃখ কষ্ট অনুভব না করতে পারেন। এই এলাকার সকল ভোটাররা তাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার যেমন সম্মতি ও সহযোগিতা করিয়াছে, ঠিক তেমনি ভাবে যেন আমার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে আমাকে সহযোগিতা করেন এটাই আমার চাওয়া এলাকাবাসীর নিকট। আসুন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সমাজ কে বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে ধার করতে পারি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিনির্মানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করার সাথ সাথে বাস্তবতা প্রক্রীয়া চলমান রাখতে কাজ করে যেতে পারি।